বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ শীর্ষ ১৪ নেতার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে পুলিশের করা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় বিচারিক আদালতে পৌঁছেছে।
বিএনপির আইনজীবী প্যানেলের সদস্য ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিচারিক আদালতে রায়ের এ অনুলিপি পৌঁছায় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
এ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় প্রকাশের পর তা বিচারিক আদালতে পৌঁছা ও জামিনপ্রাপ্তদের হাতে পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে বিএনপি নেতাদের আত্মসমর্পণ করার জন্য বলা হয়েছিল রায়ে।
সে হিসেবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ ১৪ নেতার আত্মসমর্পণের দিন গণণা শুরু হয়েছে বুধবার বিকেল থেকে। কিন্তু কবে আত্মসমর্পণ করবেন বিএনপির ১৪ নেতা? তা নিশ্চিত করেননি এই আইনজীবী। এখন দেখার পালা তারা কবে আত্মসমর্পণ করেন।
এর আগে ৩১ জনকে হাইকোর্টের দেয়া আগাম জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে বেশকিছু পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনাসহ ওই রায় ঘোষণা করেছিলেন আপিল বিভাগ।
প্রকাশিত রায়ে হাইকোর্টকে কেবল ব্যতিক্রমী মামলার ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে আগাম জামিন বিবেচনা করতে বলা হয়।
এ ছাড়া মামলার চার্জশিট হলে আগাম জামিন আর কার্যকর থাকবে না এবং আগাম জামিনের কোনো অপব্যবহার হলে সে জামিন বাতিল হয়ে যাবে বলেও রায়ে উল্লেখ করেন আপিল বিভাগ।
সেই সঙ্গে যে কোনো মামলায় কাউকে আট সপ্তাহের বেশি আগাম জামিন দেয়া যাবে না বলেও নির্দেশনা দেয়া হয়। আগাম জামিন দেয়ার পর সেটা কোনোভাবেই মামলায় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিলের পর তা কার্যকর থাকবে না।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চ ওই রায় দিয়েছিলেন। পরে বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর ওই রায়ের ৪৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, যা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
গত ১৮ এপ্রিল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৩১ নেতার জামিন বহাল রেখে সংক্ষিপ্ত আদেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পরে গত সপ্তাহে এরই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়।
এসব নেতার নামে ২০১৮ সালের বিভিন্ন মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে ওই রায় দেন আপিল বিভাগ।
সেই সঙ্গে এ রায়ের কপি পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে বিএনপি মহাসচিবসহ শীর্ষ ১৪ নেতাকে নিম্ন (বিচারিক) আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
- কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলকে সরকারের নানা পদক্ষেপ
- নির্দোষ জাহালমের সাজা : দুদকের ১১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
- আগামীকাল ‘গাঙচিল’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
যাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে তারা হলেন- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মঞ্জুর মোরশেদ, বরকতউল্লা বুলু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, মো. শাহজাহান, অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন, হাজি সালাহউদ্দিন ও মো. আমিনুর রহমান (এখানে ১৬ জন রয়েছেন, এর মধ্যে দুজনকে আত্মসমর্পণ করতে হবে না। তবে এ দুজনের নাম এখনও জানা যায়নি)।
তবে আত্মসমর্পণের পর এই নেতারা জামিনের আবেদন করলে আইন ও তথ্য অনুসারে জামিনের জন্য তাদের প্রার্থনা বিবেচনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতকে বলা হয়েছে।