ভারতের সাবেক অর্থমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনেক নাটকীয়তার পর বুধবার রাতে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই চিদাম্বরমকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে বলে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এর আগে এনএক্স মিডিয়া দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় কংগ্রেস কার্যালয়ে উপস্থিত হন চিদাম্বরম। সেখানে তিনি দাবি করেন, তিনি কোনো অপরাধে অভিযুক্ত নন। তার পরিবারও দুর্নীতিতে যুক্ত নয়। আদালতে সিবিআই বা ইডি তার বিরুদ্ধে কোনো চার্জশিট দেয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।
কংগ্রেস কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পরপরই চিদাম্বরমকে গ্রেফতার করে সিবিআই সদস্যরা।
চিদাম্বরমের গ্রেফতারকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যায়িত করে তার ছেলে কার্তি বলেন, এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ। ২০১৭ সাল থেকে তদন্তে নেমেও এখন পর্যন্ত কেন চার্জশিট দেওয়া হলো না?
দেশবাসীর দৃষ্টি ঘোরাতেই এই ধরনের আচরণ করা হচ্ছে বলেও এ সময় দাবি করেন তিনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে চিদাম্বরমের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি পিছিয়েছে শুক্রবার পর্যন্ত। মঙ্গলবার হাইকোর্টের নির্দেশের পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন পি চিদাম্বরম। এ অবস্থায় ‘লুক আউট’ নোটিস জারি করে ইডি। এরই মধ্যে বুধবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই দলের কার্যালয়ে হাজির হন চিদাম্বরম।
সেখানে তিনি বলেন, ‘কেউ পালিয়ে যাচ্ছে না। সবাই শুনানি চাইছে।’ বিবেক ও মূল্যবোধের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আইন থেকে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি– এটা শুনে আবাক হয়েছি। উল্টে আমি ন্যায় বিচারের পক্ষে। আমি বিবেক নিয়ে এই লড়াই চালিয়ে যাবো। মাথা উঁচু করে লড়বো। প্রার্থনা করি তদন্তকারী সংস্থাগুলো আইনকে উপযুক্ত সম্মান দেবে।’
এর আগে মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট আইএনএক্স -দুর্নীতিতে অভিযুক্ত চিদম্বরমকে আগাম জামিন দিতে অস্বীকার করে। সেদিন রাতেই সিবিআই তার বাড়িতে হানা দেয়, কিন্তু তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এরপর বুধবার চিদাম্বরম হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। সুপ্রিম কোর্টে সেই আবেদনের ওপর শুনানি হবে শুক্রবার।