সারাদেশে ডেঙ্গু এখন আতঙ্কের নাম। ঈদের আগে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কমলেও এখন হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
এডিস মশা স্বচ্ছ-পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী স্থানগুলোকে পরিষ্কার রাখতে হবে। এ ছাড়া মশক নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে হলে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা।
ডেঙ্গুজ্বর ভালো হয়ে গেলে শরীর থেকে ভাইরাস আস্তে আস্তে বিদায় নিতে থাকে। তবে ডেঙ্গু একধিকবার হতে পারে। খবর-বিবিসি
তাই জ্বর ভালো হওয়ার পরে রোগীর যত্ন নিতে হবে । এছাড়া মিষ্টি কুমড়া, লেবুর রস, আমলকী ও ডালিমসহ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন সি জাতীয় ফল রোগীর জন্য খুবই উপকারি।
ডেঙ্গু রোগীর রক্তের উপাদান কমে যাওয়া কিংবা রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা জ্বর চলে যাওয়ার পরেই দেখা যায়। তাই এ সময় কোনো জটিলতা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডা. তানভীর ইসলাম বলছেন, জ্বর চলে গেলে ভাইরাসটিও আস্তে আস্তে বিদায় নিতে থাকে। তবে ভাইরাসের যেসব প্রতিক্রিয়া বিশেষ করে রক্তের তরল উপাদান কমে যাওয়া তার চিকিৎসা ঠিক মতো হওয়াটাই এর সমাধান।
তিনি বলেন, রোগীর যে সময়টুকু জ্বর থাকে শুধু সেসময়টুকুই ভাইরাসটা সচল থাকে। এরপর এন্টিবডি তৈরি হলে ভাইরাসটা আর থাকার সুযোগ নেই। অর্থাৎ আক্রান্ত রোগীর রক্তের প্লেটলেট কাউন্ট উন্নত হলে বা ফ্লুয়িড ম্যানেজমেন্ট হয়ে গেলে ভাইরাস আর থাকে না।
তবে কিছু ঝুঁকি বয়েছে। তবে রোগী সচেতন হলেই ঝুঁকি এড়ানো যায়।
রক্তের প্লাটিলেট কমে গেলে স্যালাইন দেয়ার পাশাপাশি ডাবের পানি, ওরস্যালাইন, লেবুর শরবত- এসব প্রচুর পরিমাণে খাওয়াতে হবে, যাতে প্রেশার কমে রোগী শক সিনড্রোম পর্যন্ত না যায়। ফ্লুয়িড ম্যানেজমেন্ট অর্থাৎ তরল খাবার ঠিকমতো খেলে ডেঙ্গু নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই।
ডা. রাজীব কুমার সাহা বলেন, রোগী সচেতন হলেই ঝুঁকি এড়ানো যায়। পুরোপুরি বিশ্রাম নিতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খেতে হবে।