‘আমাজনে আগুন আন্তর্জাতিক সংকট’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আমাজন বনাঞ্চলে চলতি বছরের রেকর্ড সংখ্যক অগ্নিকাণ্ডকে ‘আন্তর্জাতিক সংকট’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ।

অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি জি-৭ সম্মেলনের আলোচ্যসূচির শীর্ষে থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। টুইটারে ম্যাক্রোঁ লিখেছেন, আমাদের বাড়িঘর জ্বলছে।

ম্যাক্রোঁর এ মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনেরো। ম্যাক্রো ‘রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার, জন্য আমাজনের অগ্নিকাণ্ডকে ব্যবহার করছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। খবর বিবিসির।

জি-৭ সম্মেলনে ব্রাজিল অংশ না নেওয়ায় সেখানে এ বিষয়ে আলোচনা ‘ভুল স্থানে উপনিবেশবাদী মানসিকতা’র পরিচয় বলে মন্তব্য করেন বোলসোনেরো।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় চিরহরিৎ বনাঞ্চল আমাজন বিপুল পরিমাণ কার্বন জমা রেখে বৈশ্বিক উষ্ণতার গতিকে খানিকটা শ্লথ রেখেছে। পৃথিবীর  ২০ শতাংশ অক্সিজেনের আমদানি হয় এই বনাঞ্চল থেকে।

ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইনপে উপগ্রহ থেকে পাওয়া তথ্যে চলতি বছর ব্রাজিলজুড়ে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৫ শতাংশ বেশি অগ্নিকাণ্ডের খবর জানিয়েছে। এ অগ্নিকাণ্ডের বেশিরভাগই সংঘটিত হয়েছে আমাজন অঞ্চলে।

গত জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আমাজন বনে ৭২ হাজার ৮০০টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।

পরিবেশবাদীরা এজন্য আমাজন নিয়ে বোলসোনেরো সরকারের নীতিকে দায়ী করছেন। কট্টর ডানপন্থি এ প্রেসিডেন্ট বন উজাড়ে কাঠুরে ও কৃষকদের উৎসাহিত করছেন বলেও অভিযোগ তাদের।

এদিকে বোলসোনেরো আমাজনের চলতি বছরের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জন্য এনজিওকে দায়ী করেছেন। তবে এ দাবির সমর্থনে কোনো প্রমাণ হাজির করেননি তিনি।

বৃহস্পতিবার অবশ্য তিনি তার অবস্থান থেকে সরে এসে ‘কৃষকরাও বনে আগুন দিতে পারে’ এমন মন্তব্যও করেছেন।

২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় বোলসোনারো বনাঞ্চলের ক্ষতির জন্যে জরিমানা কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে পরিবেশবাদী সংস্থাগুলোর ক্ষমতাকে করেছিলেন সীমিত।

কৃষি ও বন মন্ত্রণালয়কে একীভূত করা হবে বলেও সেসময় ঘোষণা দেওয়া হয়। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এসব কারণেই আমাজন বনাঞ্চল আজ বিপন্ন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে