জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে চলমান সংকট নিরসনে ভারত ও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সহায়তা চাওয়া হলে যুক্তরাষ্ট্র তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শুক্রবার সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদেন এতথ্য জাননো হয়।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, খুব গভীরভাবে কাশ্মীর পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে তারা। একই সঙ্গে সহায়তার জন্যও প্রস্তুতি রয়েছে তাদের।
গত ৫ আগস্ট ভারতের রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের ঘোষণা দেন। এর মধ্য দিয়ে ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের ৭০ বছরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। সংবিধানের এই ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দুই ভাগ করা হয়।
৩৭০ ধারার ফলে অনেক ক্ষেত্রেই স্বায়ত্তশাসিত ছিল জম্মু-কাশ্মীর। নিজস্ব সংবিধান, আলাদা পতাকা ও স্বতন্ত্র আইন বানানোর অধিকার ছিল ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের। তবে ৩৭০ ধারা বাতিলের ফলে এখন থেকে জম্মু-কাশ্মীরের পরিচিতি হবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে।
ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পার্লামেন্টে তিনি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে এখন জাতিগত নিধন চালানো হবে।
৩৭০ ধারা বাতিল করায় জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফ্রান্সে জি-৭ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানেও কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আলোচনা হতে পারে টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে।
হোয়াইট হাউসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র খুব গভীরভাবে কাশ্মীর ইস্যু পর্যবেক্ষণ করছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন এই সমস্যা সমাধানে যদি ভারত ও পাকিস্তান কোনো ধরনের সহায়তা চায় তবে তা করতে প্রস্তুত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।