বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ক্ষমতাসীনরা আড়াল করতে চাইলেও তা হতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন।
আজ শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার সময় তিনি এ কথা বলেন।
নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান ও কেন্দ্রী নেতা অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে ৬১ সদস্যের গঠিত কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এছাড়া ফোরামের ৬ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটিও ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সদস্য হলেন- অ্যাড. খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাড. এ জে মোহাম্মদ আলী, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আবদুল আওয়াল মিন্টু, অ্যাড. জয়নুল আবেদীন, অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, লোমহর্ষক নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও অনেক ঘটনা আড়ালে চলে যাচ্ছে। এসব ঘটনা যাতে আড়াল হতে না পারে, সেজন্য কাজ করবে জাতীয় নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম।
তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে নির্যাতনের শিকার পরিবারের পাশে দাঁড়ানো, তাদের চিকিৎসা ও আইনি সহায়তাও দেবে এই ফোরাম।
ফেনীর নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ড মিডিয়ায় আসার কারণেই জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে সরকার বাধ্য হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ফোরামের আহ্বায়ক সেলিমা রহমান বলেন, খুন-ধর্ষণের মতো ঘটনা আমাদের রাষ্ট্র-সমাজকে গ্রাস করে ফেলেছে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে রাষ্ট্র সমাজের সর্বত্র ঘৃণা ছড়ানোর ফলে সমাজবিরোধীরা আসকারা পাচ্ছে। অভিভাবকরা মেয়ে ও শিশু সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রিয় বাংলাদেশ আজ পরিণত হয়েছে ধর্ষণের লীলাভূমিতে। বখাটে প্রেমিক, পাড়ার মাস্তান, কর্মকর্তা, বাস কন্ডাক্টর, শিক্ষক, মাদ্রাসার প্রিন্সিপালসহ কিছু বিকৃত মানুষের লালসার শিকার নারী ও শিশুরা।
- সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- ‘জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কাজে লাগাতে হবে’
নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের ঘোষিত কমিটি
আহবায়ক- বেগম সেলিমা রহমান ও সদস্য সচিব- অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, সদস্য- আজিজুল বারী হেলাল, আমিনুল হক, রাশেদা বেগম হিরা, মীর সরফত আলী সপু, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, লুৎফর রহমান কাজল, আফরোজা আব্বাস, তাইফুল ইসলাম টিপু,মুহম্মদ মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, অ্যাড. ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, দীপেন দেওয়ান, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ডা. রফিকুল ইসলাম, বেবী নাজনীন, মনিরজ্জামান মনি, মিসেস বিলকিস ইসলাম, ফরিদা ইয়াসমিন, মীর রবিউল ইসলাম লাবলু, খান রবিউল ইসলাম রবি, কাজী রফিক, ইকরামুল হক বিপ্লব, অ্যাড.সিমকি ইমাম খান, মশিউর রহমান বিপ্লব, লায়লা বেগম, সাইফুল ইসলাম, রুমানা মাহমুদ, আলী আহম্মেদ, কনক চাঁপা, এলবার্ড পি কস্ট্রা, আব্দুল খালেক, অ্যাড.আবু সেলিম চৌধুরী, এস এ সিদ্দিক সাজু, ইশরাক হোসেন, জাহেদুল আলম হিটো, মাহবুব আলমগীর আলো, রেজাউল হাসান কয়েস লোদি, অ্যাড.নুরুল হক, লিটন আকন্দ, সাজ্জাদ হোসেন লাবলু, সাঈদ আহমেদ, মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, রাশেদা ওয়াহিদ মুক্তা, শামীমা আকবর, তরুণ দে, রফিকুল ইসলাম জামাল, শাহ আহমেদ মোজাম্মেল চৌধুরী, মিসেস শামসুন্নাহার পান্না, আরিফা সুলতানা রুমা, অ্যাড.শামীমা আক্তার শাম্মী, মঞ্জুর এলাহী, আসিফ আলতাফ, সাদিয়া হক, অধ্যক্ষ রফিকা আফরোজ, দেওয়ান মাহমুদা আক্তার লিটা ও রিটা আলী।