রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের ২০০ পরীক্ষক খাতা দেখার সুযোগ হারাচ্ছেন। খাতা মূল্যায়নের পর নম্বর গণনায় ভুল করায় এদের বিরেুদ্ধে এই ব্যবস্থা নিচ্ছে বোর্ড।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই ২০০ পরীক্ষক আগামী এইচএসসি পরীক্ষার খাতা দেখার সুযোগ পাবেন না। খাতা মূল্যায়নের পর নম্বর গণনায় ভুল করেন তারা।
পরীক্ষার্থীদের চ্যালেঞ্জে এসব শিক্ষকদের দেখা খাতার নম্বর পরিবর্তন হয়েছে। এতে ফেলে থেকে পাস করেছেন ৬৬ পরীক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৪ জন।
গত ১৬ আগস্ট পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
তবে এ বছর ফেল থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী নেই। তবে গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে ৩৬৬ জনের।
বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. প্রফেসর আনারুল হক প্রামাণিক বলেন, ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে এমন পরীক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এবারের এইচএসসি পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশের পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, এবারের এইচএসসি পরীক্ষার খাতা দেখেছেন প্রায় ৮ হাজার পরীক্ষক। এদের মধ্যে মধ্যে ২০০ জন পরীক্ষকের খাতায় নম্বর লেখা বা গণনায় ভুল পাওয়া গেছে। এদের আগামীতে সব ধরনের পরীক্ষকের দায়িত্ব থেকে বাদ দেয়া হবে।
এবার রাজশাহী বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৫১ হাজার ১৩৪ জন। ৭৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ হারে পাস করেছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৫০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৭২৯ জন। এ বছর ৮১ দশমিক ২১ শতাংশ মেয়ে এবং ৭২ দশমিক ৩২ শতাংশ ছেলে পাস করেছে।
এদিকে, ফল প্রকাশের পরদিন ১৮ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন জমা নেয় বোর্ড। ওই সময়ের মধ্যে ৩৪ হাজার ৭১৫টি উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন আসে।
এ বছর সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়ে ইংরেজির দুই বিষয়ে। এর মধ্যে ইংরেজি প্রথমপত্রে ৫ হাজার ২৬২ এবং ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রে ৪ হাজার ৬২২টি।