নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী ৩ থেকে ৫ অক্টোবরের মধ্যে রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটের জন্য সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করেছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের ১ থেকে ৩ তারিখের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করবে কমিশন। ইসির সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, ওই আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি-জাপা অংশগ্রহণের জন্য জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাপা চেয়ারম্যান প্রয়াত এইচ এম এরশাদ একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন।
জাতীয় পার্টি-জাপার চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে ইতোমধ্যে রংপুর-৩ আসন শূন্য ঘোষণা করেছে সংসদ সচিবালয়। সংসদ সচিবালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) আ ই ম গোলাম কিবরিয়া গত ১৬ জুলাই এরশাদের আসনটি শূন্য হওয়ার গেজেট প্রকাশ করেন।
গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে- বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের মাননীয় সংসদ সদস্য হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ৩০ আষাঢ় ১৪২৬/১৪ জুলাই ২০১৯ তারিখ মৃত্যুবরণ করায় একাদশ জাতীয় সংসদের ২১ রংপুর-৩ আসনটি উক্ত তারিখে শূন্য হয়েছে।
সংবিধানের ১২৩(৪) দফায় বলা হয়েছে- সংসদ ভাঙ্গিয়া যাওয়া ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হইলে পদটি শূন্য হইবার নব্বই দিনের মধ্যে উক্ত শূন্যপদ পূর্ণ করিবার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে (তবে শর্ত থাকে যে, যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে, কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এই দফার নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হয়, তাহা হইলে উক্ত মেয়াদের শেষ দিনের পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে)।
সংসদ সচিবালয় ইতোমধ্যে এইচএম এরশাদের আসনটি শূন্য ঘোষণা করার পাশপাশি ওয়েবসাইট থেকে তার নামটি সরিয়ে নিয়েছে। গত ১৪ জুলাই ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন এরশাদ।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, আসন শূন্য হওয়ার দিন থেকেই নব্বই দিন গণনা করা হয়। এক্ষেত্রে আগামী ১১ অক্টোবরের মধ্যে ওই আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহম্মদ খান গণমাধ্যমকে জানান, রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচন আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসাবে মধ্য অক্টোবরের মধ্যে এরশাদের শূন্য আসনে এবং আগস্টের মধ্যে রুশেমা বেগমের আসনে নির্বাচন করবে ইসি।
