‘অভিযোগ প্রমাণিত হলে চাকরিচ্যুত হতে পারেন ডিসি’

বিশেষ প্রতিবেদক

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। ফাইল ছবি

ভিডিও কেলেঙ্কারির অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওএসডি হওয়া জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীর চাকরিচ্যুতও হতে পারেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

মন্ত্রিসভার বৈঠকের বিষয়ে সোমবার সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

universel cardiac hospital

এক নারী অফিস সহকারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের পর রোববার বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয় জামালপুরের ডিসি আহমেদ কবীরকে। একই সঙ্গে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা) মুশফিকুর রহমান।

প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠেছে। অতীতে সেভাবে কাউকে শাস্তি পেতেও দেখা যায়নি। জামালপুরের ডিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা প্রক্রিয়া শুরু করেছি, শাস্তি হবে ইনশাআল্লাহ। তবে এ বিষয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো আলোচনা হয়নি।

তিনি বলেন, যদি তদন্তে (অভিযোগ) প্রমাণিত না হয় তবে কাউকে শাস্তি দেয়া কঠিন। আমরা এজন্য কমিটি করেছি। কমিটি দেখবে এটা। অবজেক্টটিভলি দেখবে, নিরপেক্ষভাবে দেখবে। টেকনিক্যালি এটার মধ্যে যদি কোনো ম্যানুপুলেশন থাকে তারা সেটাও যাচাই করবে এক্সপার্ট দিয়ে। সেজন্য এক্সপার্টও সঙ্গে রাখা হয়েছে। যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কী ধরনের শাস্তি হতে পারে- জানতে চাইলে শফিউল আলম বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ডিসিপ্লিন অ্যান্ড আপিল রুল যেটা- সেখানে ডিসমিসাল হতে পারে চাকরি থেকে (চাকরিচ্যুতি), রিমুভাল হতে পারে অথবা নিচের পদে নামিয়ে দেয়া হতে পারে। গুরুদণ্ড হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, কার্যপরিধির বাইরেও যদি কোনো ইনফরমেশন চলে আসে তবে গঠিত তদন্ত কমিটি বলতে পারে তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগও আছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গঠিত কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে