অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আজ মঙ্গলবার প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকাকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে ভারত। উঠে গেছে ফাইনালে। বাংলাদেশের সামনেও ছিল ফাইনালের হাতছানি।
কলকাতার কল্যাণী স্টেডিয়ামে আজ নেপালকে হারালেই টানা দ্বিতীয়বার সাফ অনূর্ধ্ব-১৫’র ফাইনালে উঠে যেত কিশোররা। কিন্তু নেপালের কাছে ৪-১ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। ফাইনালের বদলে এখন বিদায়ের শঙ্কায় সর্বশেষ সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ।
ম্যাচের প্রথমার্ধের একদম শেষ সময়ে প্রথম গোল খায় বাংলাদেশ কিশোররা। সেই গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠা বাংলাদেশ পরে আরও তিন গোল হজম করে। দিতে পারে মোটে এক গোল।
এই হারে প্রথম দুই ম্যাচে জেতা বাংলাদেশের পয়েন্ট থাকল ছয়। নেপালও তিন ম্যাচ থেকে দুই জয়ে ছয় পয়েন্ট পেয়ে গেছে। বাংলাদেশের এখন ফাইনালে যেতে হলে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জিততে হবে।
স্বাগতিক ভারত তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে দিয়েছে ১৭ গোল। হজম করেনি একটি গোলও। বাংলাদেশের জন্য ভারতের বিপক্ষে জেতা তাই কঠিন হবে।
অন্যদিকে শেষ ম্যাচে নেপাল খেলবে প্রতিবেশি ভুটানের সঙ্গে। বাংলাদেশ হারলে আর হিমালয়ের দেশটি ভুটানকে হারালেই উঠে যাবে ফাইনালে।
ভুটান তিন ম্যাচ খেলে একটিতেও জয় পায়নি। শ্রীলংকার বিপক্ষে তারা ৩-২ গোলে, ভারতের বিপক্ষে ৭-০ গোলে এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫-২ গোলে হারে।
তবে বাংলাদেশ এবং নেপাল যদি শেষ ম্যাচে হারে বা ড্র করে তবে ফাইনালে খেলার সুযোগ তৈরি হবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ দলের। কারণ নেপাল তিন ম্যাচে ছয় গোল দিয়েছে। আবার হজমও করেছে ছয় গোল।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ হজম করেছে ৭ গোল। তবে প্রতিপক্ষের জালে দিয়েছে ১৩ গোল। যদিও সহজ দল পাওয়ায় ফাইনালের হাওয়া নেপালের পক্ষেই।
গত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে হিমালয়ের দেশটিকে ১-২ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এবার আর পারল না বাংলাদেশের কিশোররা। সাফের ইতিহাসটাও বাংলাদেশের বিপক্ষে। টানা দু’বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড নেই কোনো দলের।
বাংলাদেশ সেই রেকর্ড ভাঙার লক্ষ্য নিয়ে কলকাতা গেলেও নেপাল দিয়েছে বড় ধাক্কা। সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হয় পাঁচ দল নিয়ে। ভুটান এবং শ্রীলংকা এরই মধ্যে বিদায় নিয়েছে। এখন ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হওয়ার লড়াই বাংলাদেশ-নেপালের।