হাইকোর্ট খাদ্যপণ্য ও বিভিন্ন সেবা নিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে সার্বক্ষণিক (২৪ ঘণ্টা) সেবা দিতে তিন মাসের মধ্যে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে হটলাইন চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
একই সঙ্গে এ জন্য কোনো প্রকার অজুহাত ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় অর্থের বাজেট বরাদ্দ দেয়ার ব্যবস্থা করতে বলেছেন আদালত।
এ বিষয়ে ১৫ অক্টোবর অগ্রগতি জানাতে ভোক্তা অধিকার অধিদফতরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
৫২ পণ্য নিয়ে করা রিটের শুনানিতে আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে খাদ্যপণ্য ও বিভিন্ন সেবা নিয়ে ভোক্তাদের হটলাইন চালুতে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ বিভাগ) শামীম আল মামুন হাইকোর্টে হাজির হন।
২০ আগস্ট তাকে হটলাইন স্থাপনের জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তলব করেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। আর নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে ব্যারিস্টার মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম ও ভোক্তা অধিকারের পক্ষে ছিলেন কামরুজ্জামান কচি।
আদালতে হটলাইন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়েছেন একটি বেসরকারি সফটওয়্যার কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাফসান জানি সামি।
বিশেষজ্ঞ মতামতে তিনি বলেন, বিটিআরসি থেকে লাইসেন্স নিয়ে মাসিক ভিত্তিতে প্রয়োজন অনুসারে খরচার ভিত্তিতে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে হটলাইন চালু করা যেতে পারে। যেখানে তিন শিফটে ১০টি আসনে প্রতিদিন ৩০ জন কাজ করতে পারবে।
এর পর আদালত শামীম আল মামুনের কাছে বাজেটের বিষয়ে জানতে চান। জবাবে তিনি বলেন, কমিটির আলোচনায় আউটসোর্সিংয়ের বিষয়টি আসেনি।
তখন আদালত উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, বিষয়টি আপনাদের নজরে কেন আসেনি? আগে বলেছেন, আপনাদের লোকবল কম। তা হলে আপনারা কীভাবে এটি স্থাপন করবেন।
এ সময় শামীম আল মামুন ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, আপনারা যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে স্থাপন করব।
পরে আদালত বলেন, আউটসোর্সিং করতে কত দিন লাগবে?
জবাবে তিনি বলেন, বাজেট পাওয়ার পর তিন মাস লাগবে।
এর পর আদালত আদেশ দেন।
১৬ জুন হাইকোর্ট দুই মাসের মধ্যে একটি হটলাইন সেবা চালু করতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এ আদেশের পর ভোক্তা অধিকারের আইনজীবী আদালতে একটি আবেদন দিয়ে জানান, এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
এ কথা শুনে আদালত বলেন, হটলাইন চালু করতে ৫০ লাখ টাকা লাগবে? এ বিষয়ে ব্যাখ্যা শুনতে আদালত সংশ্লিষ্ট পরিচালককে আজ তলব করেছিলেন।