জিয়া-এরশাদের সংশোধনী রেখে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যায় না : মেনন

ডেস্ক রিপোর্ট

রাশেদ খান মেনন
রাশেদ খান মেনন। ফাইল ছবি

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, সংবিধানকে ধর্মীয়করণের জিয়া-এরশাদের সংশোধনী বহাল রেখে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যায় না। বঙ্গবন্ধু ধর্মের রাজনীতি, জুলুম-শোষণ, সমাজে বিভাজনের বিরুদ্ধে সারা জীবন সোচ্চার থেকেছেন।

তিনি বলেন, সংবিধান রচনায় তারই প্রতিফলন ঘটেছিল ধর্ম নিরপেক্ষতার মূল নীতির সংযোজনের মধ্য দিয়ে। অথচ এখন হেফাজতকে যুক্ত রাখতে পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন আনা হয়েছে, ভাস্কর্য্য অপসারণ করা হয়েছে, যাকে তাকে যখন তখন নাস্তিক-কাফের আখ্যা দেওয়া হয়েছে। সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সাম্প্রদায়িকতা। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে তিনি দাবি করেছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ ওয়ার্কার্স পার্টি অফিস চত্বরে ‘বঙ্গবন্ধু, ৭২-এর সংবিধানের চার মূলনীতি ও বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশ যুব মৈত্রী আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন যুব মৈত্রীর সভাপতি সাব্বাহ আলী খান কলিন্স।

মেনন বলেন, বঙ্গবন্ধুর সমাজতন্ত্রের ধারণা থেকে আমাদের সমাজতন্ত্রের ধারণা ভিন্ন হলেও, অসমতা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধাচারণ ও একটি সমতাভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমরা সব সময় একমত থেকেছি। কিন্তু সময়টাই পাল্টে গেছে। যারা কোনোদিন বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বাস করতেন না, এখনো করেন না তারাই বঙ্গবন্ধুর সবচাইতে বড় ভক্ত।

এমপি ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের জন্য সমস্যা নয়, সমস্যা আওয়ামী লীগের জন্য, মুজিব কোর্ট গায়ে দিলেই আদর্শ ঠিক হয়ে যায় না, মুজিব কোর্টের ভেতরে বুকে হাত দিলে তার ভেতরে স্বাধীনতাবিরোধীরাও রয়েছে।

তিনি বলেন, উন্নয়ন হচ্ছে, বৈষম্য যেমন বাড়ছে ঠিক তেমনি উন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৈষম্য। বেকারদের কাজ দিতেও সরকার উদাসীন।

ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য শরিফ শামসির বলেন, আমাদের যে বাস্তবতা বিশ্লেষণ করে সেই অনুযায়ী জনগণের পাশে থেকে রাষ্ট্র পরিবর্তনের লড়াই জারি রাখতে হবে।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি। সভায় আরও বক্তৃতা করেন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য শরিফ শামসির, যুব মৈত্রীর সহসভাপতি তৌহিদুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক তাপস দাস, অর্থ সম্পাদক কাজী মাহমুদুল হক সেনা, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক রেজোয়ান রাজা, দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, কেন্দ্রীয় সদস্য ইয়াদুল ইসলাম প্রমুখ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে