জনগণের কল্যাণে কাজ করতে ছাত্রলীগকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

বিশেষ প্রতিবেদক

শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণের কল্যাণে ছাত্রলীগকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

শনিবার বিকেলে ১৫ আগস্ট উপলক্ষে গণভবনে আয়োজিত ছাত্রলীগের জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।

universel cardiac hospital

তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সঙ্গে কত সাথী আমরা একসঙ্গে দিনের পর দিন মিটিং করেছি, মিছিল করেছি তারা অনেকে জীবন দিয়ে গেছেন সেই মহান মুক্তিযুদ্ধে। তার পরবর্তীকালে স্বাধীনতার পর অনেকে বিভ্রান্তিতে পরে আর্দশচুত্য হয়েছে। এটাই হচ্ছে সব থেকে দুর্ভাগ্যের ব্যাপার। আর্দশ ও নীতি না থাকলে কখনও নেতা হওয়া যায় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর্দশ ও নীতি না থাকলে কখনও নেতা হওয়া যায় না। আর সাময়িকভাবে নেতা হওয়া গেলেও সে নেতৃত্ব দেশ ও জাতিকে কিছু দিতে পারবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, সবকিছু ত্যাগ করে নিজের আর্দশ নিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারলে, মানুষের ভালোবাসা ও আস্তা আর্জন করতে পারলে, এই ভালোবাসা ও আস্থা অর্জন করাই হচ্ছে এক রাজনৈতিক নেতার জীবনে অমূল্য সম্পদ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আর্দশের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকার একমাত্র পথ যেটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। আজকে সারা বাংলাদেশকে নয় বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

ছবি : সংগৃহিত

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিলেও আমাদের দুর্ভাগ্য তার নামটি মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে।

পঁচাত্তরে তাকে যে হত্যা করা হলো- এই হত্যাটা কেন? এর কারণ একটাই তিনি এ দেশটাকে স্বাধীন করে দিয়ে যান। এই স্বাধীনতা অর্জনের পরে মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিল। এ সাড়ে তিন বছরের মধ্যে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে তিনি যেভাবে গড়ে তুলেছিলেন এটাও একটা বিরাট ইতিহাস।

শেখ হাসিনা বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশ যুদ্ধের পর গড়ে তোলার জন্য বছরের পর বছর সময় লাগে। কিন্তু মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে তিনি একটি প্রদেশকে রাষ্ট্রে উন্নতি করা, ৯ মাসের মধ্যে সংবিধান দেয়া, একটি রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য আমাদের পথ দেখিয়েছেন। শুধু তাই না, তিনি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে একটি ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ ১০ বছরের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত পেত। এ দেশকে তিনি ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে পারতেন।

বঙ্গবন্ধুর লেখা ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রকাশিত নথিপত্র ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পড়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরও একটি বইয়ের কাজ চলছে। ১৯৫২ সালে শান্তি সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু চীনে গিয়েছিলেন। পুরো পাকিস্তান থেকে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে গিয়েছিলেন তিনি। সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশ কীভাবে সেখানে বিপ্লব করেছে, সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রা তিনি দেখেছেন, অনুভব করেছেন এবং লিখেছেন।

গণভবনে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীসহ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে