মোদি মুসলমানদের জাতিগতভাবে নির্মূল করতে চায় : ইমরান খান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইমরান খান
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ফাইল ছবি

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মীর নিয়ে প্রতিদিনই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলে যাচ্ছেন। এবার আসাম নিয়েও বিজেপি সরকারকে বিদ্রুপ করেছেন তিনি।

আজ শনিবার আসামে প্রকাশিত হয়েছে চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসির তালিকা। তা নিয়ে ইমরান খান একহাত নিলেন মোদি সরকারকে।

universel cardiac hospital

তার অভিযোগ, এনআরসি করে মুসলিম সম্প্রদায়কে জাতিগতভাবে নির্মূল করতে চাইছে ভারত সরকার।

ইমরান খান এক টুইটে লেখেন, ভারত ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে খবর আসছে যে, মোদি সরকার কীভাবে মুসলিম সম্প্রদায়কে জাতিগতভাবে নির্মূল করতে চাইছে। সারাবিশ্বের কাছে অশনি সঙ্কেত দিচ্ছে মোদি সরকারের এ সিদ্ধান্ত। এই টুইটের মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টাও করেন।

ইমরান খানের অভিযোগ, মুসলিমদের জাতিগতভাবে নির্মূল করার লক্ষ্যেই এনআরসির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ঠিক একইভাবে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এবার হলো এনআরসি। একের পর এক জাতিগত বিদ্বেষমূলক সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আসামকে দ্বিতীয় কাশ্মীর তৈরি করতে চাইছে নরেন্দ্র মোদীর ভারত। সে কারণে মুসলিমদের ওপর ছাঁটাই পর্ব চলছে। এনআরসি নিয়ে এ ধরনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের দাবি, তাদের কাছে যে রিপোর্ট রয়েছে তাতে জানা যাচ্ছে এনআরসি মূলত মুসলিমদের নিশানা করেই বানানো হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার নিয়ে সরব ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এবার তার সমালোচনার নকুন ইস্যু হয়ে উঠেছে আসামে এনআরসি।

ভারতের কেন্দ্র সরকারকে একাধিকবার এই ইস্যুতে ফ্যাসিস্ট, রেসিস্ট ও ন্যাৎসি আদর্শে চলা এক সরকার হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে পাকিস্তান। এনআরসি করে আসামে গণহত্যা চালাতে চাইছে কেন্দ্র বলে দাবি করেছেন ইমরান খান।

উল্লেখ্য, এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে আজ শনিবার। এরই মধ্যে জানা গেছে ১৯ দশমিক শূন্য ছয় লাখ মানুষ তালিকার বাইরে রয়েছে। ফলে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। প্রাথমিকভাবে ১০ দশমিক শূন্য ছয় লাখ তালিকার বাইরে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছিল।

তালিকায় রয়েছে তিন কোটি মানুষের নাম। যারা বৈধ নাগরিক বলে চিহ্নিত হয়েছেন। এর আগে, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় নাগরিক তালিকার চূড়ান্ত তালিকায় ৪১ লাখেরও বেশি মানুষ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন।

খসড়ার পর পূর্ণাঙ্গ তালিকায় দেখা গেল সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখে। তার পরেও এই লাখ লাখ আসামবাসী বিশেষ করে আসামে থাকা বাঙালিদের বড় অংশ এখন কী করবেন, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে