তরুণ-তরুণীকে আপত্তিকর অবস্থায় আটকের পর থানায় নিয়ে বিয়ে!

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

থানায় নিয়ে বিয়ে!
ছবি : সংগৃহিত

গোপনে দেখা করতে গিয়ে তরুণ-তরুণী ধরা পড়লে থানায় নিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় উভয়পক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে কাবিননামা ধার্য করে কাজী ডেকে তাদের বিয়ে দেয়া হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানায় আজ সোমবার দুপুরে এ বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়।

আখাউড়া পৌরশহরের কাজী কেফায়েতুল্লাহ মাহমুদি বিয়ে পড়ান ও মোনাজাত করেন। পরে থানার ওসি রসুল আহমদ নিজামী উপস্থিত সবাইকে মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করান। বিয়ের পর নবদম্পতি সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।

উভয়পক্ষের সম্মতিতে চার লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয় বলে আখাউড়া পৌরসভার নিকাহ রেজিস্ট্রার মাওলানা কাজী কেফায়েতুল্লাহ মাহমুদি জানিয়েছেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামের বাছির খন্দকারের ছেলে তোফাজ্জল খন্দকারের (২১) সঙ্গে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে পার্শ্ববর্তী নূরপুর (লামারবাড়ি) গ্রামের মাসুদুর রহমান মাসুমের মেয়ে মাইশা মনি মেঘলার (১৮) প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল।

মাইশা মনি মেঘলার খালাআম্মা দক্ষিণ ইউনিয়নের ছোটকুড়িপাইকা গ্রামের বাসিন্দা শাহারা খাতুন মত ও পথকে জানান, আমার বড় বোনের মেয়ে মেঘলা। সে সম্প্রতি আমার বাড়িতে বেড়াতে আসে। এ খবর পেয়ে রোববার সন্ধ্যার দিকে মেঘলার সঙ্গে দেখা করতে আমার বাড়িতে আসেন তোফাজ্জল। এ সময় আপত্তিকর অবস্থায় তাদের দু’জনকে আটক করে স্থানীয়রা।

পরে স্থানীয় লোকজনসহ জনপ্রতিনিধি রাত ১১টা পর্যন্ত তাদের দু’জনকে বিয়ে দেয়ার ব্যাপারে সমঝোতার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তোফাজ্জলের পরিবার। অবশেষে রাতেই প্রেমিক যুগলকে আখাউড়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

আখাউড়া থানার ওসি রসুল আহমদ নিজামী জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক এবং উভয়পক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে থানায় তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে