বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছিল ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড। আর তার ছেলে তারেক রহমান ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড। জনতার আদালতে এদের বিচার হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাঁতীলীগ আয়োজিত ১৫ আগস্টের শোক স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
১৫ আগস্টের হত্যাকারীরা বহুবার বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যতোদিন সূর্য উঠবে ততোদিন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর নাম থাকবে। যারা ঘাতক, পৃথিবীর ইতিহাসে তাদের কারও স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। মীর জাফর, রায় দুর্লভ, জিয়াউর রহমান কারও স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি।
‘রাজনীতি কোনো পেশা না’ ওবায়দুল কাদের উপস্থিত নেতাকর্মীদের যার যার কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যে যে পেশায় আছেন, তার জায়গায় সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুন। ভালোভাবে কাজ করুন। তারপর রাজনীতি করুন। কেননা রাজনীতি কোনো পেশা নয়। কেউ বেকার থেকে রাজনীতি করলে মানুষ ভালোভাবে দেখে না। তাই কাজ করুন। আর জনসেবার জন্য রাজনীতি করুন। রাজনীতি কোনো পেশা না, জনসেবার কমিটমেন্ট। বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে যারা রাজনীতির ব্যবসা করে তাদের প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।
কাদের বলেন, বিশ্বের তিন জন সৎ নেতার একজন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু মারা গেলো তার কোনও সম্পদ ছিল না। এটা তার সততা। আর বিএনপি দুর্নীতির জন্য গড়ে তুলেছিল হাওয়া ভবন। বঙ্গবন্ধু পরিবার থেকে শিক্ষা নাও। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সফরওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম নিয়ে কাজ করে, বঙ্গবন্ধুর আরেক মেয়ে শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান সিদ্দিক ববি চাকরি করে। তাদের থেকে শিখতে হবে, কীভাবে নিজের কর্মসংস্থান করে তারপর মানুষের সেবায় রাজনীতি করতে হয়।
তাঁতি লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শওকত আলীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন তাঁতি লীগের সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সুদীপ চন্দ্র হালদার প্রমুখ।