বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভারতের আসামের এনআরসি (জাতীয় নাগরিকপঞ্জি) বাংলাদেশের জন্য একটা বিপদ জানান দিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষকে সজাগ হতে হবে। এ দেশের মানুষকেই তার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষকেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে এবং তা রক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, শুধু রোহিঙ্গা সমস্যা নয়, দেশে আরও বিপদ আসছে। চতুর্দিক থেকে বিপদ আসছে।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১২তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষ ভোট দিতে পারেনি। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নেই, মানুষ ন্যায়বিচার পায় না।। তারা অসহায়। তাই গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে হবে। এটা কেউ দিয়ে যাবে না। বিএনপিকেই সেই আন্দোলনে, সেই যুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে হবে। মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে, দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কেউ হতাশ হবেন না। এ দেশের তরুণ-যুবকরা কেউ হতাশ নয়, সংগ্রাম ও লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে তারা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবে।
সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্যাতন-নিপীড়ন ১২ বছর করেছেন, কাউকে টলাতে পারেননি। এবার বিরোধী দল ও মতের সবার সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ২৬ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
- আরও পড়ুন >> মুসলিম উম্মাহর ঐক্য দরকার : শেখ হাসিনা
- আরও পড়ুন >> আন্তর্জাতিক চাপে পাকিস্তানের সুরবদল : দিল্লি
তিনি বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফল বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচন দিতে হবে এবং একটা স্বাধীন ও যোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে গ্যাস রফতানির চুক্তিতে সই করেননি বলে ২০০১ সালে তিনি পরাজিত হয়েছেন। কিন্তু মঙ্গলবার সেই গ্যাস রফতানির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল প্রমুখ বক্তব্য দেন।