দেশকে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ামুক্ত করতে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ উদ্দেশ্যে সিটি করপোরেশনগুলোর কর্মকর্তারা অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কয়েকটি দেশ সফর করেছেন। তারা খুব শিগগির সিঙ্গাপুর যাবেন, সেখানে কীভাবে এই রোগগুলো প্রতিরোধ করা হচ্ছে তা প্রত্যক্ষ করার জন্য।
আজ বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) জন্য ২০০টি ফগার মেশিন, ১৫০টি হস্তচালিত মেশিন ও ৪০ হাজার লিটার মেলাথিয়ন কীটনাশক সরাসরি ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে সরকারের ব্যয় হবে ৫ কোটি ৩২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, উত্তর সিটি করপোরেশনে দ্রুততম সময়ে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধের জন্য এসব যন্ত্র ও কীটনাশক সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে এসব যন্ত্রপাতি ও কীটনাশক উত্তর সিটি করপোরেশনের হাতে পৌঁছবে। টেন্ডারের মাধ্যমে এগুলো সংগ্রহ করটা বেশ সময়সাপেক্ষ। সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনা করে এসব ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা কয়েকটি দেশ সফর করেছেন। তারা পরবর্তীতে সিঙ্গাপুর যাবেন। সিঙ্গাপুরের একটি প্রকল্প আছে- মশাকে আকৃষ্ট করে তারা একত্রে মারে। তারা গর্ত করে সব মশা আকৃষ্ট করে সেখানে আনে, তখন সব মশা একসঙ্গে মারা হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এবারের ডেঙ্গু স্মরণকালের ভয়াবহতা দেখিয়েছে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের বিষয়টি জাতীয়ভাবে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সরকার। শুরুর দিকে সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় না থাকলেও ডেঙ্গু প্রতিরোধে বর্তমানে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) জন্য এ সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব এখনো পাঠানো হয়নি। এবার শুধু উত্তর সিটির জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে। ডিএসসিসি যদি এ ধরনের কোনো উদ্যোগ নেয় তাদের বিষয়েও একই সিদ্ধান্ত হবে।
তিনি বলেন, উত্তর সিটি করপোরেশন যেহেতু কিনেছে, দক্ষিণেও হয়তো কিনবে। মশা মারার এ কার্যক্রম বছরব্যাপী চলবে। শীত বেশি হলে এত মশা থাকবে না।
- কূটনীতিকদের ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বিভ্রান্ত করতে পারবেন না : কৃষিমন্ত্রী
- আন্তর্জাতিক চাপে পাকিস্তানের সুরবদল : দিল্লি
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের তিনটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবগুলো ফেরত পাঠানো হয়েছে। সেগুলো কিছুটা পর্যালোচনা করার প্রয়োজন রয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে তা করে পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।