সমুদ্র সম্পদ ব্যবহার করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্ভব : প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

সমুদ্র সম্পদ ব্যবহার করে আমরা দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য, জ্বালানি ও নিরাপত্তাসহ বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারি। তাই একীভূত টেকসই সুনীল অর্থনীতির সর্বোচ্চ সুফল পেতে অংশীজনদের মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ওসেন রিম অ্যাসোসিয়েশন- আইওআরএ মিনিস্ট্রিয়াল ব্লু ইকোনমি কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।

universel cardiac hospital

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সম্মেলনে আমরা যদি সম্মিলিতভাবে সমুদ্র সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট ১৪ অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে পারি, তবে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ৯ বিলিয়ন মানুষের জীবন ধারনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এই সুনীল অর্থনীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে গিয়ে যেন সমুদ্রের সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত না হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, সমুদ্র সম্পদের গুরুত্ব উপলব্ধি করেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে সর্ব প্রথম সমুদ্র অঞ্চলে সীমা নির্ধারণ, সমুদ্র সীমানায় বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা এবং সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণের জন্য ‘দ্য টেরিটরিয়াল ওয়াটারস এন্ড মেরিটাইম জোনস এ্যাক্ট ১৯৭৪’ প্রণয়ন করেন।

তিনি বলেন, সাগর ও মহাসাগর হলো মানব জাতির অবারিত সম্পদ ও অপার সম্ভাবনার উৎস। সভ্যতা গড়ে উঠেছে সাগর পাড়কে ঘিরে। এর অনেকাংশই এখনও অনাবিষ্কৃত রয়েছে। সমুদ্রকে কেন্দ্র করে গড়ে শিল্পগুলো যেমন- পণ্য পরিবহন, মৎস শিল্প, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সমুদ্র বন্দর, পর্যটন ইত্যাদি বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতিতে সমৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে অবদান রাখছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে