মিয়ানমার এবার বাংলাদেশ থেকে হিন্দু রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে জাতিসংঘের সহযোগিতা চেয়েছে। জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিশ্চিন স্ক্যারনার বার্গনারের কাছে দেশটির সরকারের পক্ষে এ বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে আজ শুক্রবার মিয়ানমার টাইমস জানিয়েছে।
২০১৭ সালে রাখাইনে সেনা অভিযানের সময় সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। ওই সময় পাঁচ হাজার হিন্দু রোহিঙ্গাও বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অ্যান্ড ইকোনোমিক ডিপার্টমেন্টের মহাপরিচালক ইউ চ্যান আয়ে জানিয়েছেন, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রয় নেওয়া আট শতাধিক হিন্দু পরিবারের মধ্যে চার শতাধিক পরিবারের নাগরিকত্ব যাচাই করেছে মিয়ানমার সরকার। এই পরিবারগুলো স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরতে চেয়েছে।
মিয়ানমার সরকারের এই কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার জানান, বুধবার রাজধানী নেপিদোতে বার্গনারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী ইউ কিয়াও। ওই সময় তিনি রোহিঙ্গা পরিবারগুলো ফেরানোর ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়েছেন।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা মুসলমানের প্রত্যাবাসনের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য বুধবার তিন দিনের সফরে মিয়ানমার পৌঁছেছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিশ্চিন স্ক্যারনার। রোহিঙ্গাদের অনাগ্রহের কারেণ গত মাসে দ্বিতীয় দফায় প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।
রোহিঙ্গাদের দাবি, প্রত্যাবাসনের আগে তাদের নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো সুস্পষ্ট আশ্বাস বা ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। উপরন্তু, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বের জন্য বাংলাদেশকে দোষারোপ করে আসছে মিয়ানমার।
হিন্দু রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ব্যর্থতার জন্যও বাংলাদেশকে দোষারোপ করেছে মিয়ানমার। সে দিকে ইঙ্গিত দিয়েই ইউ চ্যান আয়ে বলেন, কেবল জাতিসংঘ দূতই নয়, জাপান, চীন ও ভারত হিন্দু রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছে। তবে বাংলাদেশ সরকার তাদের প্রতি যত্মবান নয়।