কেন্দ্রীয় দুই শীর্ষ নেতার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা নানান অভিযোগে ক্ষুব্ধ হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন সংগঠনের সাংগঠনিক নেতা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উপস্থিত নেতাদের সমালোচনার একপর্যায়ে ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দিতে বলেন শেখ হাসিনা। সে সময় ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে বিরক্তিও প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় তিনি এ কথা বলেন বলে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের ওই নেতারা জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আর তাতে ছাত্রলীগের বর্তমান শীর্ষ নেতাদের ওপর তিনি ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে কমিটি ভেঙে দিতে বলেছেন।
ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃতি দিয়ে ওই নেতারা বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগের এমন নেতা চাই না, যাদের বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে।’
আওয়ামী লীগের নেতারা আরও জানান, ছাত্রলীগের ওপর প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেও দেখা দেননি তিনি। উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতারা তখন দুজনকে গণভবন থেকে চলে যেতে বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গণভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সামনে পেয়ে সবার সামনেই ‘বকাঝকা’ করেন। তিনি বলেন, ‘চলে যাও এখান থেকে।’ পরে ছাত্রলীগের দুই নেতাই বেরিয়ে যান।
- আরও পড়ুন >> উড়ন্তগতিতে চলছে মেট্রো রেলের কাজ
বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা বলেন, বৈঠক শেষে ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমানের সঙ্গে ছাত্রলীগ প্রসঙ্গে প্রায় ১০ মিনিট কথা বলেন শেখ হাসিনা।