জাতীয় পার্টি দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদকে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা করার প্রস্তাব করে স্পিকার ড. শিরীন শারমিনকে চিঠি দিয়েছে।
অনেক নাটকীয়তার পর দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের পরিবর্তে রওশন এরশাকে ওই পদ দেয়ার জন্য আজ রোববার সন্ধ্যায় স্পিকারের কাছে চিঠি দেয়া হয়।
এর আগে ওই পদ পাওয়ার জন্যই দুজনের তরফ থেকে স্পিকারের কাছে পাল্টাপাল্টি চিঠি দেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতা কাজী ফিরোজ রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, বেগম রওশন এরশাদকে বিরোধী দলীয় নেতা করার জন্য আজ স্পিকারের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম কাদের স্বাক্ষরিত চিঠিতে আমাদের দলের ২৫ জন এমপি স্বাক্ষর করেছেন। আমরা সর্বসম্মতভাবেই এই চিঠি দিয়েছি।
রওশন এরশাদের পক্ষ থেকে দলটির সাবেক মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু ও ফখরুল ইমামসহ কয়েকজন রওশনকে চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে মনোনীত করার জন্য স্পিকার বরাবর চিঠি দেন।
এমনকি চেয়ারম্যান হিসেবে রওশনের নাম দিয়ে নির্বাচন কমিশনেও চিঠি পাঠান তারা। অন্যদিকে কাজী ফিরোজ রশীদ, আবু হোসেন বাবলাসহ প্রায় ১৪-১৫ এমপি জিএম কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতা করার তৎপরতায় উঠেপড়ে লাগেন।
এর আগে শনিবার দ্বন্দ্ব নিরসনে উভয়ের পক্ষে মোট ৮ জন নেতা সমঝোতা বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। তিনটি এজেন্ডা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়। তা হলো- জাপার নেতৃত্ব, রংপুর নির্বাচনে প্রার্থী ও বিরোধীদলের নেতা নির্বাচন।
শনিবার রাতে দলটির মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা কোন্দল মিটিয়ে ফেলতে সমর্থ হন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হবেন প্রয়াত এরশাদের ভাই জি এম কাদের এবং বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করবেন এরশাদ পত্মী রওশন এরশাদ। সব মিলিয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির বর্তমানে ২৫ জন এমপি আছেন। এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ আসনে বিজয়ী হলে তাদের সদস্য সংখ্যা ২৬ হবে।