দিনের খেলা শেষ, সাকিবদের লজ্জার প্রহর বাড়ল

ক্রীড়া ডেস্ক

আফগানিস্তান বাংলাদেশের সামনে চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ের জন্য ৩৯৮ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে। ইতিহাসে এমন বড় রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে হাতে গোনা চার-পাঁচটি। এশিয়ার উইকেটে এতো বড় রান (৩৮৮ তাড়ার ঘটনা আছে) তাড়ার রেকর্ড নেই। লজ্জার শঙ্কা নিয়েই তাই দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ। থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়া ম্যাচে চতুর্থ দিন শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য এখনও ২৬২ রান দরকার সাকিবদের। পঞ্চম দিন তাই আফগানদের কাছে হারের লজ্জার অপেক্ষা নিয়ে দিন শুরু করবে বাংলাদেশ।

সাকিব আল হাসান ৩৯ রানে দিন শুরু করবেন। তার সঙ্গে নামবেন সৌম্য সরকার। চতুর্থ দিন তিনবার বৃষ্টি নামে। না হলে হয়তো বাংলাদেশের হারের অপেক্ষা বাড়তো না। চতুর্থ দিন যা বেলা ছিল অন্তত ১২ ওভার খেলা হতো। শেষ বিকেলে ওই সময় পার করা সহজ হতো না সাকিবদের। টানা বৃষ্টিই কেবল এই টেস্ট বাঁচাতে পারে। কিন্তু বৃষ্টিও ছলাকলা খেলছে বাংলাদেশের বিপক্ষে।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেন করতে নামেন লিটস দাস। তিনি ফেরেন ৯ রানে। এরপর তিনে মুমিনুলের জায়গায় ব্যাট করতে নামেন মোসাদ্দেক হোসেন। ‘আত্মহত্যার’ আগে ১২ রান করেন তিনি। মুশফিক ওয়ানডে গতিতে খেলে ২৩ রান করে ফেরেন। এরপর ক্রিজে এসেই ফিরে যান মুমিনুল। ভরসা দেওয়া সাদমান ৪১ করে আউট হন। চতুর্থ দিনও মধ্যাহ্ন বিরতির পরে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ রাখা হয়। এর আগে দিনের শুরুতে বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু করতে বিলম্ব হয়।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের একমাত্র টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১৩৭ রানের বড় লিড পায় আফগানিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে আফগানিস্তান ২৬০ রান করে অলআউট হয়। বাংলাদেশের সামনে বিশাল লক্ষ্য দিয়ে ঐতিহাসিক জয়ের পথ রচনা করে ফেলে তারা।

দ্বিতীয় ইনিংসে আফসার জাজাই ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ৮৭ ও আসগার আফগান ৫০ রান করে আউট হন। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা রহমত শাহ গোল্ডেন ডাক মারেন। এর আগে প্রথম ইনিংসে আফগানিস্তান ৩৪২ রান তোলে। আফগানিস্তানের হয়ে টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরি করে আউট হন রহমত শাহ। এছাড়া আসগর আফগান খেলেন ৯২ রানের ইনিংস। রশিদ খান ফিফটি করেন।

জবাবে প্রথম ইনিংসে ২০৫ রানে থামে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে মোসাদ্দেক ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন মুমিনুল হক। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেন রশিদ খান। পরের ইনিংসে নেন তিন উইকেট। দুই ইনিংসে মোহাম্মদ নবি নিয়েছেন চার উইকেট। বাংলাদেশের হয়ে দুই ইনিংসে ছয় উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। সাকিব নিযেছেন পাঁচ উইকেট। নাঈম হাসান চারটি ও মিরাজ নিয়েছেন তিন উইকেট।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে