রংপুরের উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আছে, আমরাও প্রার্থী দিয়েছি এবং বিএনপিও অংশ নিচ্ছে। আশা করি এ নির্বাচনটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। নির্বাচনটা অবাধ, সুষ্ঠ, সুন্দর ও ভালো নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাজীপুরের টঙ্গী বাজার এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলমান বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গুরুত্বপূর্ণ স্বাধীন ভূমিকা পালনে আমরা নির্বাচন কমিশনকে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করবো। বিরোধীদল, বিশেষ করে বিএনপি অনেকগুলো নির্বাচন বর্জন করেছে। অংশগ্রহণ করেনি। তবে এখন তারা বলেছে, স্থানীয় সরকার থেকে শুরু করে জাতীয়, প্রত্যেক নির্বাচনেই তারা অংশগ্রহণ করবে। আমরা তাদের স্বাগত জানাই। তারা (বিএনপি) সংসদেও এসেছে। সংসদে তারা অংশ নিচ্ছে। এটা একটা ভালো দিক।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে দেশ কোনো রাস্তা-সড়কের মুখ দেখেনি। বর্তমানে ফ্লাইওভার, বাস র্যাপিড ট্রানজিট, মেট্রোরেল, ফোর লেন হচ্ছে। এগুলো তারা স্বপ্নেও দেখেনি কোনোদিন।
সড়কে টোল আদায়ের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, টোল দিলে রাস্তা চলাচলের যেই সুবিধাটুকু জনগণ পাবে, পৃথিবীর সব দেশেই সেই ব্যবস্থা আছে। এই যে নতুন নতুন ফোর লেন, সিক্স লেন ও আট লেন, সবগুলো রাস্তার কিন্তু টোলের ব্যবস্থা আছে। জনগণ যে রাস্তাটি ব্যবহার করছে, এটা কিন্তু মেরামত করতে হয়, সংস্কার করা দরকার হয়। তো সংস্কারের টাকাটা কোথা থেকে আসবে? সরকার বারবার শুধু নতুন নতুন রাস্তা করবে? সেই রাস্তার ব্যবহার যারা করবে তাদের কোনো দায়-দায়িত্ব নেই?
‘বিএনপি কোনো রাস্তা করেনি। কাজেই এ সম্পর্কে তাদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। অন্য দেশের অভিজ্ঞতা তাদের যদি জানাও থাকে, তাহলে বলতে হবে, চোখ থাকতেও তারা অন্ধ।’
শেখ হাসিনা সরকারের উদ্যোগে চলমান এই মেগা প্রজেক্টের (বাস র্যাপিড ট্রানজিট) কাজ ২০২১ সালের জুন নাগাদ শেষ হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সড়ক ও জনপথের ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক সবুজ উদ্দিন খান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, গাজীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুদ্দিন এবং সড়ক ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।