শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ২৭৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচে অনবদ্য শতক হাঁকিয়েছেন টাইগার যুবা মাহমুদুল হাসান জয়। এ ওপেনারের শতকে ভর করেই ২৭৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করছে লঙ্কান যুবারা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৮৭ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। আহান বিক্রমাসিংহে ৯ রানে এবং নিপুন ধনাঞ্জয়া ৩ রানে ক্রিজে আছেন।
মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় দু’দল। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার যুবা অধিনায়ক আকবর আলী। অধিনায়কের সে সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে দলকে শুভ সূচনাও এনে দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও মাহমুদুল হাসান জয়।
তবে দলীয় ৩০ ও ৫৬ রানের তামিম ও পারভেজ হোসাইন ইমন ফিরে গেলে কিছুটা চাপে পড়ে যুবারা। সাজঘরে ফেরার আগে তামিম ১৭ ও ইমন ১০ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হন। পরে তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে সে চাপ কাটিয়ে বড় জুটি গড়েন জয়। ১২১ রান যোগ করে এ জুটি যখন বিচ্ছিন্ন হয়, তখন নিজের ফিফটি পূরণ করে ফেলেন হৃদয়।
৭৫ বলে চার বাউণ্ডারিতে ঠিক ৫০ করে আউট হন মিডল অর্ডারের এ ব্যাটসম্যান। ততক্ষণে শতকের কাছাকাছি পৌঁছে যান জয়ও। পরে শামিম হোসাইন ও দলনায়ক আকবর আলীর সঙ্গে গড়েন ৩২ ও ৩৫ রানের দুটি ছোট ছোট জুটি। এ দুটি জুটি গড়ার পথেই দুর্দান্ত এক শতক হাঁকান জয়।
- আরও পড়ুন, বৃষ্টিও বাঁচাতে পারল না বাংলাদেশকে
পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে এ ওপেনার যখন মাঠ ছাড়েন তখন তার নামের পাশে শোভা পায় ১২৬ রানের অনবদ্য একটা সংখ্যা। ১৪০ বল মোকাবেলা করে বারটি চার ও দুটি ছক্কার মারের সাহায্যে মনোমুগ্ধকর এ ইনিংসটি সাজান তিনি।
মূলত জয়ের এই ইনিংসে ভর করেই লঙ্কানদের বিপক্ষে ২৭৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় বাংলাদেশ। এ স্কোর গড়তে গিয়ে যুবাদের হারাতে হয় ৭টি উইকেট। যেখানে জয় ও তাওহীদ ছাড়াও শামিম ২২, আকবর ১৪, তানজিদ ১৭ ও শাহাদাৎ ১২ রান করেন।
লঙ্কান বোলাদের পক্ষে দিলশান মাদুসংকা ৩টি এবং আশিয়ান ড্যানিয়েল দুটি উইকেট লাভ করেন। এছাড়া বাকি উইকেট দুটি নেন নাদীশান ও পারানাভিথানা।