দেশ এক ভয়াবহ সংকটে রয়েছে। এই সংকটের হাত থেকে মাতৃভূমিকে রক্ষায় দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বৃহত্তর ঐক্য দরকার। এটি ছাড়া জনগণের মুক্তি সম্ভব নয়, খালেদা জিয়ার মুক্তিও সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। জনগণের কাছ থেকে দেশের মালিকানা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বিচারব্যবস্থাকে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। দেশ এক মহাবিপর্যয়ের মুখে। এই বিপর্যয়ের হাত থেকে মাতৃভূমিকে রক্ষায় দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ বৃহত্তর ঐক্য দরকার। এটি ছাড়া জনগণের মুক্তি সম্ভব নয়। খালেদা জিয়ার মুক্তিও সম্ভব নয়।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করে ফখরুল বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। অবিলম্বে তার মুক্তি দিতে হবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আরো কর্মসূচি দেওয়া হবে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ সবার চাওয়া একটি, সেটি হচ্ছে গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি। সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মাঠে নামতে হবে। আন্দোলন করতে হবে।
সরকার প্রশাসনকে দখল করে ক্ষমতায় টিকে আছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ ডিসেম্বর এদেশে কোনো ভোট হয়নি। আগের রাতেই ভোট হয়ে গেছে। সরকার জোরজবরদস্তি করে টিকে আছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে মসনদ সুদৃঢ় করার চেষ্টা করছে।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেলা ১১টায় কর্মসূচি শুরু হয়, চলে বেলা ১২টা পর্যন্ত।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, জ্যেষ্ঠ নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক, খায়রুল কবির খোকনসহ বিএনপি মহানগর ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা এই মানববন্ধনে অংশ নেন।
কর্মসূচিতে অংশ নিতে সকাল ১০টা থেকেই নেতাকর্মীরা ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। তোপখানা রোড থেকে দীর্ঘ সড়কের এক পাশে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।