প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, দেশেই ডেঙ্গু রোগ শনাক্তকরণে ব্যবহৃত কিট তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, এতে প্রতিদিন ৩৫ হাজার ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কিট সরবরাহ করা সম্ভব হবে। কোনো ঘাটতি থাকবে না।
বুধবার জাতীয় সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।
এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গত ৩ আগস্ট পর্যন্ত আমরা ১ লাখ ৫৭ হাজার এসএস-ওয়ান কম্ব কিটসহ মোট ৩ লাখ ৬৮ হাজার ২০০ ডেঙ্গু রোগ শনাক্তকরণ কিট আমদানি করেছি। কিন্তু গত ৬ আগস্ট থেকে বিদেশ থেকে কাঁচামাল এনে দেশেই এ কিট তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ফলে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজার কিট সরবরাহ করা সম্ভব হবে। ডেঙ্গু রোগ শনাক্তকরণ কিট ঘাটতির কোনো সম্ভাবনা নেই।
তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে বিশেষ করে উষ্ণমণ্ডলীয় ১২৭টি দেশে চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ ও প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশেও এবছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গাইড লাইন রয়েছে। এই গাইড লাইনের ভিত্তিতে ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। তারা স্থানীয় চিকিৎসক এবং নার্সদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ঢাকার ২৩টি সরকারি, ৪১টি বেসরকারি হাসপাতাল ও দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই হাজার চিকিৎসক ও নার্সকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এখনও চলমান।
শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা শহরে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে স্বতন্ত্র ডেঙ্গু কর্ণার খোলা হয়েছে। ডেঙ্গু রোগীর ভর্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে এবং বেসরকারি হাসপাতালে নির্ধারিত মূল্যে ডেঙ্গুর পরীক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান এ নিয়ম না মানলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়। আমরা ডেঙ্গুর পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কিটের আমদানি/সরবরাহ নিশ্চিত করেছি।
একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ডেঙ্গু প্রতিরোধে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ, শনাক্তকরণ এবং ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসার জন্য দেশের অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে আওয়ামী লীগ ৬৪ জেলায় মনিটরিং টিম গঠন করেছে।
- দেশের বেশিরভাগ এয়ারক্র্যাফটে যুক্ত হচ্ছে ইন্টারনেট সুবিধা
- কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি কেন ধান ক্রয় নয় : হাইকোর্ট
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ মনিটরিং টিম জেলা পর্যায়ে জনসতেনতা সৃষ্টি, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে উৎসাহিত করা, সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিশ্চিতকল্পে সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।