‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে পরপর তিন অর্থবছর লাভ করেছে। তবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২০১.৪৭ কোটি টাকা লোকসান করেছে।’-বলে জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ মাহবুব আলী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছর উড়োজাহাজের জ্বালানি তেলের মূল্য পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি, উড়োজাহাজের লিজ খরচ বৃদ্ধি, পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ খরচ, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বৃদ্ধি, ককপিট ক্রুদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির কারণে বিমানের লোকসান হয়েছে।
১২ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) জাতীয় সংসদে বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের রুমিন ফারহানার লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
নোয়াখালী-২ আসনের মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক কিছু উৎসাহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশের আকাশসীমায় আনম্যান্ড এরিয়েল ভেহিক্যাল সিস্টেম (ইউএভি-ইউএএস), রিমোট কন্ট্রোল বিমান অথবা খেলনা বিমান উড্ডয়ন করছে। পাশাপাশি অনুমোদিত দেশি-বিদেশি বিমান, হেলিকপ্টার এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন সামরিক বিমান চলাচল করছে। ফলে যেকোনো সময় অননুমোদিত উড্ডয়নকারী ড্রোনের সঙ্গে যেকোনো সময়ে আকস্মিক দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।তবে এখনো ড্রোনের সংখ্যা নির্ণয় করা হয়নি। পুরো বিশ্বের কাছে এটি নতুন একটি আবিষ্কার।
মাহবুব আলী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ড্রোন পরিচালনা ও আমদানির বিষয়ে সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রস্তুতের লক্ষ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় (বিপম), বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও দফতর/সংস্থা কাজ করছে, যা বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে। নীতিমালা চূড়ান্ত হলে ড্রোনের আকার, রেজিস্ট্রেশন ও উড্ডয়ন-সংক্রান্ত তথ্যাদিসহ অন্যান্য বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। নীতিমালা প্রকাশের পর রাষ্ট্রীয়ভাবে সরকারের কাছে ড্রোন-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী।