ধর্ষণের পর থানায় বিয়ের ঘটনায় ওসি প্রত্যাহার, এসআই বরখাস্ত

ডেস্ক রিপোর্ট

পাবনা
ফাইল ছবি

পাবনায় গৃহবধূকে গণধর্ষণের পর থানায় বিয়ের ঘটনায় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল হককে প্রত্যাহার ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) একরামুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পাবনা সদর থানায় মামলা না নিয়ে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূর সঙ্গে এক অভিযুক্তের বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর গত সোমবার ওসি ওবাইদুল হকের কাছে ব্যাখ্যা চায় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে এ ঘটনায় মামলা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গঠন করা হয় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।

গত শুক্রবার রাতে সদর থানায় জোর করে তাকে বিয়ে দেওয়া হয় বলে ওই নারী অভিযোগ করেন। আর যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, রিমান্ডের ভয় দেখিয়ে পুলিশ তাদের বিয়ে দিয়েছে। এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ হয়।

পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নে স্বামী ও সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন ওই নারী। তার অভিযোগ, প্রতিবেশী রাসেল আহমেদ গত ২৯ আগস্ট তাকে অপহরণ করে নিয়ে সহযোগীসহ ধর্ষণ করে। দু’দিন পর তাকে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিসে নিয়ে তিনদিন আটকে রাখা হয় এবং সেখানে আরও ৪-৫ জন ধর্ষণ করে। ওই নারী বাড়ি ফিরে স্বজনদের বিষয়টি জানালে গত বৃহস্পতিবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে গৃহবধূ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযুক্ত রাসেলকে আটক করে। এরপর থানায় গৃহবধূর আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে রাসেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনার অন্যতম আসামি আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম ঘন্টুকে বুধবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঘন্টুর অফিসেই ওই নারীকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে