‘রংপুরের ভোট পেছানো হবে না। পূজা উদযাপন পরিষদের আবেদন কমিশন পর্যালোচনা করেছে। ভোটে সম্পৃক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ভোটকেন্দ্রের লোকবল, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও তাদের প্রশিক্ষণার্থী এবং ভোটারসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে ভোট হলে নির্বাচনী এলাকার সবার জন্য সুবিধা হবে।’-বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘ঘোষিত তফসিলেই ভোট হবে, ভোট পেছাতে গেলে সবার কাজে অসুবিধা হবে। সম্পৃক্ত সবার সুবিধার চেয়ে অসুবিধাই বাড়বে। এছাড়া আমাদের ১০ অক্টোবরের মধ্যে উপনির্বাচন শেষ করতে হবে। সবকিছু বিবেচনা করে কমিশন ভোটের তারিখ না পেছানোর বিষয়ে একমত হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন ইসি সচিব মো. আলমগীর।
শারদীয় দুর্গোৎসবের সপ্তমীর দিন রংপুর-৩ উপনির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ হওয়ায় তা পেছানোর দাবি জানায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। সবকিছু বিবেচনা করে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৫ অক্টোবরই ভোটের তারিখ বহাল রেখেছে নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে স্মারকলিপি দেন। ৫ অক্টোবরের ভোটের তারিখ পরিবর্তন করে ৯ অথবা ১০ অক্টোবর করার দাবি জানান তারা।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর। যাচাই-বাছাই ১১ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৬ সেপ্টেম্বর এবং ৫ অক্টোবর ভোট।
রংপুর সদর উপজেলা এবং রংপুর সিটি করপোরেশনের ১-৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়া বাকি এলাকা নিয়ে গঠিত রংপুর-৩ আসন। এ আসনে ভোটার চার লাখ ৪১ হাজার ৬৭৩। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ১৩০টি, ভোটকক্ষ ৯১০টি।