কক্সবাজারের টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আরও ২ রোহিঙ্গা পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। ১২ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার জাদিমুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন – টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ব্লকের জমির আহাম্মদের ছেলে মো. আব্দুল করিম (২৪) ও একই ক্যাম্পের একই ব্লকের সৈয়দ হোসেনের ছেলে নেছার আহাম্মদ প্রকাশ নেছার ডাকাত (২৭)।
এ নিয়ে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি ডাকাত নুর মোহাম্মদসহ পাঁচজন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলো।
টেকনাফ থানা পুলিশেরর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামিরা হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় চাইল্ড ফেন্ডলি স্পেস অফিসের পেছনে পাহাড়ের ওপরে পানির ট্যাংকির নিচে অবস্থান নিয়েছে- এমন খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি দল নিয়ে অভিযান চালাই। এ সময় পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে অস্ত্রধারী দুষ্কৃতকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এতে ঘটনাস্থলে এএসআই কাজী সাইফ উদ্দিন, কনস্টেবল নাবিল ও কনস্টেবল রবিউল ইসলাম আহত হন। জীবন রক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে প্রতিহত করতে নির্দেশ দিই। পুলিশ ২৮ রাউন্ড গুলি করে।
তিনি বলেন, গোলাগুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে আমরা গুলি করা বন্ধ করি। সেই সুযোগে ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রধারী দুষ্কৃতকারীরা গুলি করতে করতে দ্রুত পালিয়ে যায়। এরপর সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুইজনকে পাওয়া য়ায়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন ও জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝিসহ ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা গুলিবিদ্ধ দুই ব্যক্তির নাম মো. আব্দুল করিম ও নেছার আহম্মদ প্রকাশ নেছার ডাকাত বলে জানান। তাদের রাত সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২২ আগস্ট রাতে একদল রোহিঙ্গা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে থেকে ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুককে তুলে নিয়ে পাহাড়ের কাছে গুলি করে হত্যা করে।
- আরও পড়ুন >> গাজীপুরে মিনিস্টার ফ্রিজের কারখানায় আগুন
এ ঘটনার পরদিন ২৩ আগস্ট মুহাম্মদ শাহ ও আব্দুস শুক্কুর নামে দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী একই এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এরপর ১ সেপ্টেম্বর ভোরে ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।