আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন ডিসেম্বরে

বিশেষ প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন ডিসেম্বরে

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ আগামী ডিসেম্বরে দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।

universel cardiac hospital

তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন হবে। এজন্য দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রাচীনতম দল আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন হয় তিন বছর পর পর। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২০টি জাতীয় সম্মেলন হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দলটির।

এসব সম্মেলনে দলের শীর্ষপর্যায় থেকে কার্যনির্বাহী কমিটি পর্যন্ত নির্বাচিত হয়েছেন শত শত নেতা। তবে এখন পর্যন্ত সভাপতি হয়েছেন সাতজন। এর মধ্যে বর্তমান সভাপতি শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ আটবার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তিনবার করে সভাপতি নির্বাচিত হন।

২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর সর্বশেষ সম্মেলনে টানা অষ্টমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন মুখ আসে। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্থলাভিষিক্ত হন ওবায়দুল কাদের।

গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আজ গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে শেখ হাসিনা দলের জাতীয় কাউন্সিল করার কথা জানিয়ে নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন।

বৈঠকে সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ধরে রাখতে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতিটি কর্মীকে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে হবে। এ জন্য কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল তাই দেশ ও জাতির কল্যাণে সব সময়ই সংগঠনটি নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এক দশকে বাংলাদেশ যা অর্জন করেছে তা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশেষ মর্যাদা পেয়েছে। এখন বাংলাদেশ নিয়ে সারা বিশ্বের আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস তৈরি হয়েছে এবং তা ধরে রাখতে নেতাকর্মীদের তাগিদ দেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে পরিচিতি পাবে।

সভায় উপস্থিত রয়েছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, যুগ্ম সম্পাদক, সম্পাদক এবং কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে