সৌদি আরবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সৌদি আরামকো’র দুটি কারখানায় ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার স্থানীয় সময় ভোরে হামলায় দুটি স্থাপনাতেই আগুন লেগে যায় বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দুটি স্থাপনার একটি আবক্বাইক্ব এবং অন্যটি খুরাইসে অবস্থিত।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি তার প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আরামকোর শিল্পাঞ্চল নিরাপত্তা বাহিনী ভোর ৪টার দিকে (বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল ৭টা) ড্রোন হামলার কারণে আগুন লাগার সাথে সাথেই তা নিয়ন্ত্রণে নেমে পড়ে। দুটি কারখানার আগুনই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে বলেও জানিয়েছে এসপিএ।
ড্রোন হামলায় আগুনের দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি। কিন্তু হামলার পর থেকে ইরানের সঙ্গে সৌদির আঞ্চলিক জটিলতার আগুনে যেন ঘি পড়েছে।
সৌদির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে হওয়া এই হামলার ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। তবে ড্রোনগুলো কোথা থেকে এসেছিল সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
গত মাসে আমিরাত সীমান্ত সংলগ্ন আরামকোর শায়বাহ প্রাকৃতিক গ্যাস তরলীকরণ কারখানায় চালানো হামলার দায় স্বীকার করেছিল ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা। অবশ্য ওই হামলায় কোনো হতাহতের কথা জানায়নি আরামকো।
গত কয়েক মাসে হুতি বিদ্রোহীরা সৌদির সীমান্তবর্তী বিমান ঘাঁটিসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে পর পর বেশ কয়েকটি মিসাইল এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে। তাদের বক্তব্য, ইয়েমেনে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকাগুলোতে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের হামলা ও যুদ্ধের প্রতিশোধ হিসেবে হামলাগুলো চালানো হয়েছে।
তবে শনিবারের ঘটনা নিয়ে কিছু বলেনি দলটি।