ডেঙ্গু দমনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) দ্বিতীয় পর্যায়ের চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানের প্রথম দিনে আজ রোববার ৪৭টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিসের লার্ভা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যায়েও ১০ দিন অভিযান পরিচালনা করা হবে।
ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রোববার চিরুনি অভিযানের প্রথম দিনে করপোরেশনের ৩২টি ওয়ার্ডের ১০ হাজার পাঁচটি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেছে সংস্থাটির কর্মকর্তারা। এ সময় ৪৭টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা শনাক্ত হয়েছে।
তবে মশার লার্ভা হওয়া ভবন ও স্থাপনা মালিকদের কোনো দণ্ড দেয়া হয়নি।
অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তারা লার্ভা শনাক্ত হওয়া ভবনগুলোর সামনে ‘এই ভবন/স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে’ লেখা স্টিকার লাগিয়ে দেন।
এর আগে সকালে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ২ নম্বর গেইটের সামনে দ্বিতীয় পর্যায়ের চিরুনি অভিযান উদ্বোধন করেন।
প্রথম পর্যায়ের চিরুনি অভিযানের মতো এই অভিযানেও প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি ব্লকে এবং প্রতিটি ব্লককে ১০টি সাব-ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি সাব-ব্লকে আট থেকে ১০ জন পরিচ্ছন্নতা ও মশককর্মীদের একটি দল চিরুনি অভিযান পরিচালনা করবে।
প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি ব্লকের ১০টি সাব-ব্লকে ১০টি দল চিরুনি অভিযান পরিচালনা করবে। এভাবে ১০ দিনে ৩৬টি ওয়ার্ডে এই অভিযান সম্পন্ন হবে। কাউন্সিলররা নিজ নিজ ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযানের সার্বিক তত্ত্বাবধান করবেন বলে ডিএনসিসি জানায়।
এর আগে গত ২৫ আগস্ট থেকে ১০ দিনের প্রথম পর্যায়ের চিরুনি অভিযানে ৩৬টি ওয়ার্ডে সর্বমোট এক লাখ ২২ হাজার ২১৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে মোট দুই হাজার ১৩টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা শনাক্ত হয়।
এ ছাড়া ৬৭ হাজার ৭৫৮টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী স্থান ও জমে থাকা পানি পাওয়া যায়। সেসব স্থান ধ্বংস করে লার্ভিসাইড প্রয়োগ করা হয়।
চিরুনি অভিযানকালে মাটির পাত্র, ফুলের টব, পানির ট্যাংকের নিচ, ড্রাম, চিপসের প্যাকেট, পরিত্যক্ত পানির হাউজ, কলসি, পরিত্যক্ত বেসিন, কমোড ও টয়লেটের ফ্লাশ, বালতি, টায়ার, খাবারের প্লাস্টিক-প্যাকেট, লিফটের নিচ, নির্মাণাধীন ভবন, ডোবা, পলিথিন, ডাবের খোসা, নিচু জায়গা, ছোট পাত্র, নারিকেলের মালা, পানির ড্রাম, মাটির হাড়ি, প্লাস্টিকের পাত্র, বাড়ির ছাদ, দুই বাড়ির মধ্যবর্তী স্থান, ওয়াসার মিটার, গ্যারেজ ইত্যাদি জায়গায় এডিস মশার লার্ভা এবং এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।