আওয়ামী লীগ সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় পার্টির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল।
এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম রাজু আজ সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে রংপুর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
এদিকে, আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাজু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে সোমবার বিকালে নগরীর কাচারি বাজার এলাকায় আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সড়ক অবরোধ করেন। বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা রাজুকে রিটার্নিং কার্যালয়ে যাবার পথে বাধা দেন।
এ সময় রাজু বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে ডেকে পাঠিয়েছেন। আমি তার নির্দেশেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছি।
রাজুর বক্তব্য শুনে নেতা-কর্মীরা রাস্তায় গড়াগড়ি দিয়ে কান্না করেন। এক পর্যায়ে রাজুও কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন তিনি।
রংপুর রিটার্নিং কর্মকর্তা সাহাতাব উদ্দিন জানান, এখন এই উপ-নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী থাকল ছয়জন।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শূন্য ঘোষিত রংপুর-৩ আসনে উপ-নির্বাচনের জন্য গত ১ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৫ অক্টোবর ভোটগ্রহণের কথা।
নানা নাটকীয়তার পর এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী করা হয়েছে এরশাদের পালকপুত্র সাদ এরশাদকে। তবে তার ভাতিজা আসিফ শাহরিয়ারও আছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। যদিও তার সঙ্গে জাতীয় পার্টির কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানানো হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। তবে জাতীয় পার্টির একটি বড় অংশ সাদ এরশাদকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নিতে পারেনি।
নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনটি ছেড়ে দিতে শুরু থেকেই সরকারি দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আসছে জাতীয় পার্টি। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙা আশা করেছিলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবে। তার এই আশাবাদের একদিনের মাথায় সরকারি দল প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলো।
এই নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী করেছে রিটা রহমানকে, যিনি গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনেও ধানের শীষ নিয়ে এই আসনে নির্বাচন করেন।