অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সরকারি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনা হবে বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজারে আসবে। এটা আমি বলতে পারি। এগুলোকে আমরা নিয়ে আসব। পুঁজিবাজারে আনতে হলে সময় দিতে হবে। এগুলোর হালনাগাদ ব্যালেন্সড শিট তৈরি করতে হবে। এটা করতে হলে সময় লাগবে।
এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রথমত, বিদ্যমান যেসব সরকারি কোম্পানি আছে, সেগুলোকে পুঁজিবাজারে আনা। দ্বিতীয়ত, সরকারি যেসব নতুন কোম্পানি হচ্ছে, সেগুলোকে করার সময়ই শর্ত দিয়ে দিয়েছি যে, তাদের পুঁজিবাজারে আসতে হবে।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘পুঁজিবাজার উন্নয়নের লক্ষ্যে অংশীজনদের সাথে সমতবিনিময়’ সভা শেষে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে বেলা ১১টায় এ সভা শুরু হয়।
এ সময় এক সংবাদকর্মী জানান, ২০০৫ সালেও আরেকবার সরকারি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। আমলারা এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছেন।
জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, অতীত টানলে আরও অতীত টানা যাবে। অতীতের জবাব আমরা দিতে পারব না। খুব কাছের সময় থেকে শুরু করলে পরে আমরা জবাব দিতে পারব। যেগুলো নতুন হচ্ছে, সেগুলোকে হওয়ার সময়ই শর্ত দিয়ে দিচ্ছি। আপনারা নিশ্চিত থাকেন, এগুলো পুঁজিবাজারে আসবে। হয়তো একটু সময় বেশি লাগবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কোম্পানির প্রাইসিং যাতে যথাযথ হয়, সেই কাজটিও আমরা করব। ওভার প্রাইজ হয়ে গেলে বাজারে শেয়ারের দাম কমে যায়। সেই পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, সেজন্য বিশেষ কমিটি তৈরি করে দিয়েছি।
এ বিশেষ কমিটির কার্যাবলি সম্পর্কে তিনি বলেন, কমিটির কাজ হবে সারা বছর তারা পর্যবেক্ষণ করবেন। যেসব তালিকাবদ্ধ প্রতিষ্ঠান আছে, প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদনে আছে কি না, নাকি বন্ধ হয়ে গেছে, প্রতিষ্ঠানটির স্বাস্থ্য কতটুকু ভালো– এসব বিষয় তারা দেখবে।
পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ছাড়া বর্তমানে তাদের সামনে আর কোনো চিন্তা নেই বলেও সভায় উপস্থিত সবাই ঐকমত্য প্রকাশ করেছেন বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য সরকার যেটুকু সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে, সরকারের বিভিন্ন অর্গান, বিভাগ, প্রতিষ্ঠান– সবাই আমরা সহায়তা অব্যাহত রাখব।
- কোনো রোহিঙ্গা ভোটার হতে পারেনি : এনআইডি ডিজি
- খালেদা জিয়াকে সরকার অন্যায়ভাবে বন্দি করে রেখেছে : ফখরুল
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান, ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান এবং সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালি ও আইসিবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা।