আরও দুটি বোয়িং বিমান কিনতে চান প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (এইচএসআইএ) ভিভিআইপি টারমাকে আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় ফিতা কেটে নতুন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির চতুর্থ ও শেষ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানের বক্তব্যে বিমানের জন্য আরও দুটি বোয়িং উড়োজাহাজ কেনার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শোনেছি যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং আরও দুটি বিমান বিক্রি করবে। তাদের কাছে ওয়ার্ডার দিয়ে নেয়নি। কাজেই আমরা সেই যুযোগটা নেব।

তিনি বলেন, আমাদের রিজার্ভ মানি যথেষ্ট ভালো অবস্থায় আছে। আমাদের যে রিজার্ভ মানি আছে, তাতে আমার মনে হয় নিজেদের টাকায় কিনতে পারব, কোনো সমস্যা হবে না।

এ সময় রিজার্ভ মানির বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রিজার্ভ হিসাব করি আমরা এই কারণে যে, সব সময় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে বা কোনো দুর্বিপাক দেখা দিলে আমাদের যদি খাদ্য কিনতে হয়, তাহলে যেন তিন মাসের খাদ্য আমরা কিনতে পারি সেই পরিমাণ অর্থ আমার জমা থাকতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, এর অতিরিক্ত রেখে দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। সেটি আমি উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারি। সেদিক থেকে আমরা খুব ভালো একটা অবস্থানে আছি। এখানে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। তাছাড়া খাদ্য উৎপাদনে আমরা সয়ংসম্পূর্ণ অর্জন করেছি। কাজেই খুব একটা যে আমরা বিপদে পড়ব তা নয়।

তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য আমাদের যে পরিমাণ খাদ্যশস্য রাখা দরকার সে পরিমাণ আমরা মজুদ রেখেছি। কোনো অসুবিধা হবে না। আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা করে রেখেছি।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমানের যে অবস্থা ছিল সেটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা যখন বাহিরে যেতাম বা বিশেষ করে লন্ডনে বা আমেরিকায় যাওয়া হতো তখন বিমান ব্যবহার করতাম। তখন বিমানের যে ঝরঝরে অবস্থা ছিল, আগে প্লেনে উঠলে পানি পড়ত, টিস্যু দিয়ে পানি পড়া বন্ধ করা হতো, কোনো এন্টারটেইমেন্টের ব্যবস্থাই ছিল না।

তিনি বলেন, মাঝে মাঝে আমরা ঠাট্টা করতাম যে, আমাদের ঢাকা শহরে এক সময় যে বাসগুলো চলতো সেগুলো খুবই বিধ্বস্ত অবস্থায় ছিল। সেগুলোকে আমরা ডাকতাম মুড়ির টিন বলে। এরকম একটা অবস্থা ছিল আমাদের বিমানে।

শেখ হাসিনা বলেন, স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী দলে ছিলাম তখন কিছু করার ক্ষমতা ছিল না। কিন্তু মনে মনে একটা আকাঙ্ক্ষা ছিল যে, যখনই সময় পাব এ অবস্থা থেকে বিমানকে উত্তরণ ঘটাব।

তিনি বলেন, ৭৮৭ বোয়িং চারটি এসেছে। আরও তিনটি বিমান আমরা কিনব।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে