ভারত থেকে অক্টোবরে ২০টি লোকোমেটিভ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ‘বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে’ ভারত এই ইঞ্জিনগুলো বাংলাদেশকে দেয়ার কথা জানিয়েছে। ২০টি ইঞ্জিনের মধ্যে ১০টি মিটার গেজ ও ১০টি ব্রড গেজ চলার উপযোগী।
আজ মঙ্গলবার রেল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ভারত ও চীন সফর করে দেশে ফেরা মন্ত্রী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় এই লোকোমেটিভগুলোর হস্তান্তর হবে বলে আশা করছেন।
তিনি বলেন, রেলে লোকোমোটিভ ইঞ্জিনের সঙ্কট রয়েছে। ভারতীয় ঋণে যেসব ইঞ্জিন আসার কথা, সেগুলো ২০২২ সাল নাগাদ পাওয়া যাবে।
রেলপথমন্ত্রী বলেন, রেলের ইঞ্জিন সঙ্কট কাটাতে আমরা ভারতের কাছে ক্রয় অথবা ভাড়ায় কিছু ইঞ্জিন চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের ২০টি ইঞ্জিন বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে দিতে রাজি হয়েছে। এর ১০টা মিটার গেজ এবং ১০টা ব্রড গেজ।
বর্তমানে রেলওয়ের ২৩৩টি লোকোমোটিভ রয়েছে এবং তার মধ্যে ৬৮ শতাংশের আয়ুষ্কাল ফুরিয়ে গেছে বলে জানান রেলমন্ত্রী।
মৈত্রী এক্সপ্রেস চলবে ৬ দিন
বর্তশানে ঢাকা-কলকাতা রেল রুটে মৈত্রী এক্সপ্রেস সপ্তাহে ৪ দিন চলছে। দু’দেশের মধ্যে চলাচলকারী ট্রেনটি সপ্তাহে চার দিন থেকে বাড়িয়ে ৬ দিন করতে ভারতীয় রেলওয়েকে রাজি করিয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী। এছাড়া চলতি বছর চালু হওয়া খুলনা-কলকাতা রুটের বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রা বাড়ানোরও আশা করছেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এখন মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনকে সপ্তাহে চার দিন থেকে বাড়িয়ে ছয় দিন করতে চাই। অর্থাৎ ছয় দিনে ১২ বার চলাচল করবে। আর বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনটি এক দিনের বদলে সপ্তাহে যেন তিন দিন চলতে পারে, সে বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।
রেলের উন্নয়নে কাজে দেবে চীনের অভিজ্ঞতা
চীন সফর করে ফেরা রেলপথমন্ত্রী বলেন, দেশটির রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছি, যা বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়নে কাজে দেবে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেললাইনের কাজ ২০২৪ সালে শেষ হওয়ার কথা। তবে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশের কাজ ২০২১ সালের জুনের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ সময় ২০২১ সালে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় পদ্মা রেল সংযোগ চালুর ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন, রেলওয়ের মহাপরিচালক শামসুজ্জামানসহ একাধিক কর্মকর্তা।