দুই জেলায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২

মত ও পথ রিপোর্ট

বন্দুকযুদ্ধ
ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ শহর ও গাজীপুরের শ্রীপুরে মাদক ব্যবসা এবং হত্যাসহ একাধিক মামলার ২ আসামি র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টায় নারায়ণগঞ্জ নগরীর সৈয়দপুর এলাকায় হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি তুহিন ওরফে চাপাতি তুহিন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

universel cardiac hospital

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিবাজারের ক্যাম্প ইনচার্জ এএসপি মোস্তাফিজুর রহমান।

তিনি জানান, মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে কুমিল্লার দেবিদ্বার থেকে মাদক ব্যবসায়ী তুহিনকে আটক করেন র‌্যাব সদস্যরা। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী বুধবার গভীর রাতে নগরীর সৈয়দপুর এলাকায় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করতে যায় র‌্যাব। এ সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা  তুহিনের সহযোগীরা তাকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় তুহিন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে গাজীপুরের শ্রীপুরে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাসুদ পারভেজ ওরফে পারভেজ (৩৩) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ছয়টি শর্ট গান এবং একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টম্বর) রাত আড়াইটার দিকে বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

র‌্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (এএসপি) কামরুজ্জামান জানান, সাতখামাইর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি চলছে বলে র‌্যাব গোপন সংবাদে জানতে পারে। পরে র‌্যাবের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাতরা তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে। র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়লে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় সোহরাব হোসেন নামে র‌্যাবের একজন কনস্টেবল আহত হন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে একজনকে পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহমুদ হাসান জানান, বুধবার ভোর ৪টার দিকে মাসুদ পারভেজকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার দেহে গুলি ও রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

মাসুদ পারভেজের নামে বিভিন্ন থানায় ৮টি ডাকাতি, দু’টি হত্যা এবং অস্ত্র আইনে একটি  মামলা রয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে