মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ১৭৫ রান সংগ্রহ করেছে টাইগাররা। দলের সর্বোচ্চ ৬২ রানে করেন রিয়াদ।
আজ বুধবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় জিম্বাবুয়ে।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে অভিষিক্ত নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে উড়ন্ত সূচনা করেন লিটন কুমার দাস। ওপেনিংয়ে তারা ৪.৫ ওভারে ৪৯ রানের জুটি গড়েন। এরপর মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে বিদায় নেন দুই ওপেনার।
কাইল জার্ভিসের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত। তার আগে ৯ বলে মাত্র ১১ রান করার সুযোগ পান তরুণ এ ওপেনার।
আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শূন্য রানে আউট হওয়া জাতীয় দলের ওপেনার লিটন দাস আজ শুরু থেকেই অসাধারণ ব্যাটিং করেন। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যাওয়া এই ব্যাটসম্যান ক্রিস মফুর বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন।
সাজঘরে ফেরার আগে ২২ বলে চারটি চার ও দুই ছক্বায় ৩৮ রান করেন লিটন। তার বিদায়ে ৫.৫ ওভারে ৫৫ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
দলীয় ৫৫ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নামেন সাকিব। প্রত্যাশা ছিল তিনি ব্যাটিংয়ে ঝলক দেখাবেন। আগের দুই ম্যাচে ১৬ রান করা সাকিব এদিন ফেরেন মাত্র ১০ রানে। তিন ম্যাচে সাকিবের সংগ্রহ মাত্র ২৬ রান। তার বিদায়ে ৭.২ ওভারে ৬৫ রানে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম। চতুর্থ উইকেটে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৭৮ রানের জুটি গড়েন তারা। রিয়াদ-মুশফিকের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছিল বাংলাদেশ দুইশ’ রানের কাছাকাছি যাবে।
কিন্তু ২৬ বলে ৩২ রান করে মুশফিক আউট হলে তাদের সেই অগ্রযাত্রা থেমে যায়। এরপর তরুণ ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে সেভাবে ব্যাটিং তাণ্ডব চালাতে পরেননি রিয়াদ। ইনিংসের শেষ ওভারে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন রিয়াদ। তার আগে ৪১ বলে এক চার ও ৪টি ছক্কায় ৬২ রান করেন।