যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে অস্ত্রসহ আটক করেছে র্যাব।
আজ বুধবার রাতে রাজধানীর গুলশান ২ নম্বরে ৫৯ নম্বর সড়কের বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
এর আগে যুবলীগের এ নেতাকে ধরতে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় র্যাব অভিযান চালায়। একই সময় তার গুলশানের বাড়িও ঘেরাও করে রাখে র্যাব।
যুবলীগ নেতাকে আটক করার আগে র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম সাংবাদিকদের বলেন, খালেদ ভুঁইয়াকে ধরতে তার বাড়ি ঘিরে অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া জুয়া চলছে এমন গোপন খবরের ভিত্তিতে ফকিরাপুলে ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এ ছাড়া ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাব থেকে ১৪২ জনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, আটকদের যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
রাজধানীর ৬০টি স্পটে এমন অবৈধ ক্যাসিনো (জুয়ার আসর) ব্যবসা চলছে। কেন্দ্রীয় ও মহানগর উত্তর-দক্ষিণ যুবলীগের একশ্রেণির নেতা এ ব্যবসায় জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গণমাধ্যমের খবর, ইতিমধ্যেই জুয়ার আড্ডাগুলো সম্পর্কে সম্প্রতি প্রমাণসহ গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা দেয়া হয়েছে। এতে চরম ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ধৃতি দিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, সম্প্রতি কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে শেখ হাসিনা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন- আমার কাছে আরও তথ্য আছে রাজধানীর সব সুউচ্চ ভবনের ছাদ দখল নিয়েছে যুবলীগের নেতারা। সেখানে ক্যাসিনো খোলা হয়েছে। যুবলীগের সবার আমলনামা আমার হাতে এসেছে। আমি সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলে দিয়েছি।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় যুবলীগ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।