দুর্নীতি অপকর্ম ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে শুধু ছাত্রলীগ-যুবলীগ নয়, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাও নজরদারিতে আছেন। সময়মতো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুর্নীতিতে জড়িত কাউকে ছাড় দেবেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কোনো গডফাদার ছাড় পাবেন না হুশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শুধু যুবলীগ বা ছাত্রলীগের প্রশ্ন নয়, আওয়ামী লীগেরও যারা অনিয়ম-দুর্নীতি করবে তাদের সবারই একই পরিণতি ভোগ করতে হবে। এসব অপকর্মে প্রশাসন বা রাজনীতির কেউ যদি মদদ দিয়ে থাকে, তা হলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো গডফাদারই ছাড় পাবে না।
- আরও পড়ুন, বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের ঝাঁঝ
অপরাধবিরোধী অভিযানের কারণে সরকারের জনপ্রিয়তা বেড়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, উই আর হ্যাপি। দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে যে শুদ্ধি অভিযান চলছে, এ অ্যাকশনের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে গেছে। এই অ্যাকশনের ফলে সরকার ও আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে।
‘দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধে যে শুদ্ধি অভিযান, এটা সারা দেশেই ছড়িয়ে যাবে। সারা দেশের সবখানেই, যেখানে দুর্নীতি বা অনিয়ম হবে, সেখানেই অভিযান চলবে’-যোগ করেন সেতুমন্ত্রী।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশো-তে প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া এক বক্তব্যের প্রসঙ্গেও এ সময় কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপির নেতা শামসুজ্জামান দুদুর বক্তব্য বিএনপির দলীয় বক্তব্য নাকি তার ব্যক্তিগত তা পরিষ্কার করতে হবে। এটি পরিষ্কার করতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। মির্জা ফখরুলকেই জবাব দিতে হবে দুদুর বক্তব্য পার্টির বক্তব্য কিনা।