‘ভূতের আড্ডা’ উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েদের কাছে পছন্দের একটি রেস্টুরেন্ট। ভেতরে ঢুকলেই ভিন্ন জগৎ। চারদিকে অন্ধকার, নিরিবিলি পরিবেশ। কিন্তু আলো জ্বালাতেই চোখে পড়ল অপ্রীতিকর অবস্থা। জোড়ায় জোড়ায় বসে আছেন তরুণ-তরুণী। বেশিরভাগই লিপ্ত অসামাজিক কর্মকাণ্ডে।
আজ শনিবার রাজধানীর শনিরআখড়ায় এমন দৃশ্যই নজরে আসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে। অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল।
তিনি মত ও পথকে বলেন, রাজধানীর কদমতলী শনিরআখড়ায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভূতের আড্ডার ভেতরে গিয়ে দেখা যায় আপত্তিকর অবস্থায় তরুণ-তরুণীরা বসে আছেন। খাবার বিক্রির চেয়ে অনৈতিক কার্মকাণ্ডে বেশি উৎসাহ দিচ্ছে। রেস্টুরেন্টে পরিবার নিয়ে বিব্রত হচ্ছেন সাধারণ ভোক্তারা। খাবারের প্রতিষ্ঠান বললেও খাওয়ার পরিবেশ নেই।
আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, রেস্টুরেন্টের বাইরে জাঁকজমক আর চাকচিক্য দেখা গেলেও রান্নাঘরের উল্টো চিত্র। নামকরা প্রতিষ্ঠানটির রান্নাঘরে ঢুকেই দেখা যায় নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। চারদিকে ময়লা-আবর্জনার মধ্যেই তৈরি করছে সব খাবার। এসব অপরাধে ভূতের আড্ডা রেস্টুরেন্টটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া আজ নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি, মোড়কজাত পণ্যের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লেখা না থাকা ও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ না দেয়ার অপরাধে রস ভান্ডারকে পাঁচ হাজার টাকা, বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১০ হাজার টাকা, আজওয়া বেক অ্যান্ড পেস্ট্রিকে ২০ হাজার টাকা, সূর্যেবানু রেস্তোরাঁকে ১৫ হাজার টাকাসহ ৫ প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বাজার তদারকি কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেন কদমতলী থানা পুলিশ সদস্যরা।