ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দেশটির দ্বিতীয় জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন না পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও লিকুদ পার্টি প্রধানের পদ হারাতে পারেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় বারের মতো ইরায়েলের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, ১২০ আসন বিশিষ্ট পার্লামেন্টের ৩১টি আসনে জয়ী হয়েছে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর দল লিকুদ পার্টি। অন্যদিকে, প্রধান বিরোধী দল ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টির বেনি গান্টজ পেয়েছেন ৩৩টি আসন।
সরকার গঠনের জন্য যেকোন দলকে নির্বাচনে অন্তত ৬১টি আসনে জয়ী হতে হয়। কিন্তু কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে জোট সরকার গঠনের জন্য ১৩টি আসন নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকা আরব দলগুলোর জোট জয়েন্ট লিস্টের ওপর নির্ভর করতে হবে।
কিন্তু আরব দলগুলোর জোট জয়েন্ট লিস্ট যেকোনো মূল্যে নেতানিয়াহুকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়। এ কারণে জোট সরকার গঠনের জন্য নেতানিয়াহু প্রয়োজনীয় আসন পেতে ব্যর্থ হবেন।
গত রবিবার সাবেক সেনাপ্রধান ও প্রধান বিরোধী দলের নেতা বেনি গান্টজকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য সমর্থনের কথা জানিয়েছে জয়েন্ট লিস্ট।
গত ৯ এপ্রিলের নির্বাচনেও নেতানিয়াহু ও গান্টজের দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। নেতানিয়াহুর দল পেয়েছিল ৩৬ আসন আর গান্টজের দল পেয়েছিল ৩৫ আসন। ইসরায়েলের ইতিহাসে এবারই প্রথম এক বছরে দুবার সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের ঘটনা ঘটল। তারপরও অচলাবস্থা কাটছে না।
২০০৯ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদ ধরে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদে বহাল আছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি এযাবৎকালের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী।
দ্বিতীয় নির্বাচনের আগে নেতানিয়াহু তার নির্বাচনী প্রচারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, এ মেয়াদে ক্ষমতায় আসলে তিনি গাজার পশ্চিমতীরের একটি অংশ ইসরায়েলের অধিভুক্ত করে নেবেন।
অন্যদিকে, গানজেট এরকম কিছু প্রতিশ্রুতি না দিলেও ফিলিস্তিনের ব্যাপারে তার অবস্থান স্পষ্ট করেননি।