ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দশ ওভারে ৬ উইকেটে ৬৫ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। এই অবস্থা থেকে টাইগাররা আফিফ হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেনের অসাধারণ ব্যাটিং নৈপুণ্যে জয় পেয়েছিল।
এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দশ ওভারে ৪ উইকেটে বাংলাদেশ করেছিল ৫৯ রান। এই ম্যাচে পরে আর কেউ হাল ধরতে পারেনি। টাইগাররা হেরেছিল ২৫ রানে।
তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ৮৩ রান করেছিল সাকিব আল হাসানের দল। এই ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৩৯ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ।
চতুর্থ ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে দলীয় ১২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছিল বাংলাদেশ। পরে সাকিব-মুশফিকের জুটিতে এগিয়ে যায় টাইগাররা। ওয়ানডাউনে নেমে শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে বাংলাদেশকে জেতান সাকিব।
প্রতিটি ম্যাচেই শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়াটা ভালো লক্ষণ নয়। তাই এদিকে নজর দিতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন টাইগারদের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।
তার মতে, শুরুতে উইকেট ধরে রেখে খেলতে হবে। পাওয়াপ্লেতে যতো বেশি পারা যায় রান তুলতে হবে। তাহলে দলের স্কোরও বড় হবে।
মিরপুরে আগামীকাল মঙ্গলবার ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল। যেখানে শিরোপার লড়াইয়ে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ সামনে রেখে আজ সোমবার ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে রাসেল ডোমিঙ্গো বলেছেন, প্রায়ই দেখা যাচ্ছে পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে আমরা বেশি উইকেট হারিয়ে ফেলছি। এরপর ১০ ওভারের মধ্যে আরও পিছিয়ে পড়ছি। তাই আমাদের এই জিনিসটা নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে যত সম্ভব কম উইকেট হারিয়ে, পরে রান বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিরোপা জিততে হলে অবশ্যই আমাদের ভালো খেলতে হবে, সামর্থ্যের সেরাটা ঢেলে দিতে হবে। আমরা ৬০-৭০ ভাগ খেললেই জিতে যাব এমনটা ভাবার কারণ নেই। তবে আফগানিস্তানকে যদি তাদের ৬০-৭০ ভাগের মধ্যে আটকে রাখতে পারি, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে।
ডোমিঙ্গো বলেন, অবশ্যই এই টুর্নামেন্টে ধীরে ধীরে আমাদের পারফরম্যান্সের গ্রাফটা ওপরের দিকে উঠেছে। তবে আমাদের এখনো ভালো খেলার জায়গা রয়েছে। আমার মনে হয় না এখনও সেরাটা খেলতে পেরেছি। নিজেদের সর্বোচ্চ বিন্দুতে যাওয়াটাই মূল লক্ষ্য।