আদালত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নতুন কমিটির কার্যক্রমে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। একই সঙ্গে আগামী সাতদিনের মধ্যে ছাত্রদলের নতুন সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলকে কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার সিনিয়র চতুর্থ সহকারী জেলা জজ নুসরাত সাহারা বিথী এ আদেশ দেন।
আদালতের পেশকার কল্যাণ কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. ইকবাল হোসেনকে এ মামলায় পক্ষ করার আবেদন করেন মামলার বাদী।
এ সময় বর্তমান কমিটির কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তার জন্য আবেদন করা হয়। তাদের কার্যক্রমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করেন। আদালত ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে এ মামলায় পক্ষ করে তাদের কার্যক্রমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। একই সঙ্গে সাতদিনের মধ্যে এ বিষয় জবাব দেয়ার জন্য নোটিশ জারি করেন।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির আইনজীবী বোরহান উদ্দিন বলেন, আগামীকাল আমরা এই মামলায় পক্ষ হয়ে জবাব দাখিলের জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেছি। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ১৪ অক্টোবর জবাব দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন।
তিনি আরও বলেন, আজ তারা নতুন করে একটি আবেদন করেন। আবেদনে তারা নতুন কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারিকে পক্ষ করেন। এছাড়া বর্তমান কমিটির কার্যক্রম স্থগিত চান। আদালত তাদের আবেদন মঞ্জুর করেন। নিয়ম হচ্ছে, ধার্য তারিখে কোনো শুনানি করতে হয়। তারা ধার্য তারিখে শুনানি করেননি, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কাউন্সিলের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ঢাকার চতুর্থ সহকারী সিনিয়র জজ আদালত। এ দিন ছাত্রদলের সদ্য বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান কাউন্সিলের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এছাড়া ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে সাতদিনের মধ্যে বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির ১০ নেতাকে জবাব দিতে বলা হয়।
যে কারণে নিষেধাজ্ঞা
মামলার অভিযোগে আমানউল্লাহ বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ ১৯৭২ অনুযায়ী ছাত্র সংগঠন কোনো রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে থাকতে পারে না। সে অনুযায়ী ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে বলেছিল ছাত্রদল তাদের অঙ্গ সংগঠন নয়।
বিএনপি পঞ্চম কাউন্সিলে তা পাস করেছিল। চলতি বছরের ৩ জুন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদলের কমিটি ভেঙে দেন। ৯ জুন মির্জা ফখরুল নির্বাচন চালানোর জন্য তিনটি কমিটি গঠন করেন। ২২ জুন ছাত্রদলের ১২ জনকে বহিষ্কার করেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।