মিসরের প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে এবার সমর্থন জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। মিসরের স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসিকে ক্ষমতা থেকে হঠিয়ে দেয়ার ডাক দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর একটি অংশ।
আজ মঙ্গলবার মিডল ইস্ট মনিটর জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর ‘ইজিপশিয়ান অফিসার্স ফ্রন্ট’ নামের একটি জোট নাগরিকদের রাস্তায় নেমে সিসির পদচ্যুতির দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। ওই জোটটি মিসরের সেনাবাহিনীর সাবেক চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল সামি আনানের অনুগত।
জনতার উদ্দেশ্যে ফেসবুকে এ গোষ্ঠীটি জানায়, আপনারা রাজপথে নামুন। সিসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ অব্যাহত রাখুন। হোসনি মোবারকের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি সেনাবাহিনী যেভাবে বিক্ষোভকারীদের রক্ষা করেছিল, ঠিক সেভাবেই আমরা আপনাদের সুরক্ষা দেব।
ওই পোস্টে সামি আননের সরকারি মুখপাত্র হিসেবে ড. মাহমুদ রেফাতের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যে কোনো তথ্যের জন্য নাগরিকদের তার সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ খবর নিশ্চিত করে রেফাত জানান, যে সব সেনা কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের সুরক্ষা দেবেন তাদের নাম শিগগিরই প্রকাশ এবং তাদেরকে ‘মিসরীয় সেনাবাহিনীর সম্মানিত অফিসার’ বলে অভিহিত করা হবে।
তবে এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
এদিকে শুক্রবার ও শনিবার রাতে সিসিবিরোধী বিক্ষোভে পাঁচ শতাধিক নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো।
- ক্যাসিনো চলছে, প্রশাসন জানে না এমন হতে পারে না : অর্থমন্ত্রী
- ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন
গত শুক্রবার ও শনিবার কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী কায়রোর তাহরির স্কয়ারে জড়ো হন। আলেকজান্দ্রিয়া ও সুয়েজেও সিসি সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়। মিসরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে হঠিয়ে ২০১৩ সালে সিসি ক্ষমতা গ্রহণ করেন।
এরপর থেকে বিরোধীদের ওপর তীব্র দমন-পীড়ন চালিয়ে সিসিই নজিরবিহীভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছেন। আইন করে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেন জেনারেল সিসি। নিষেধাজ্ঞার মুখে সিসির বিরুদ্ধে এ ধরনের বিক্ষোভ বিরল।