ক্যাসিনো ইস্যু: মেনন, মাহবুব ও সামশুলকে আইনি নোটিশ

মত ও পথ রিপোর্ট

মেনন, মাহবুব ও সামশুলকে আইনি নোটিশ
মেনন, মাহবুব ও সামশুল

দীর্ঘদিন ধরে ক্যাসিনো চালিয়ে আসা ঢাকার ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান স্থানীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আজ বুধবার রেজিস্ট্রি ডাকের মাধ্যমে নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ।

universel cardiac hospital

এদিকে মেননের পাশাপাশি ক্যাসিনো নিয়ে অসাংবিধানিক বক্তব্য দিয়েছেন দাবি করে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এবং জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীকেও এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, ঢাকা-৮ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন ইয়ংমেনস ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান। পত্রপত্রিকায় এসেছে তিনি লাল ফিতা কেটে ক্যাসিনো উদ্বোধন করছেন এবং তার সেই ছবি ক্লাবের চেয়ারম্যানের কক্ষেও আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ ঘটনায় অনেককে গ্রেপ্তার করলেও ক্লাবের চেয়ারমান অর্থাৎ রাশেদ খান মেননের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। অথচ এই সংসদ সদস্যকে প্রকাশ্য জুয়া আইনের ৩, ৪, ১৫ ধারা অনুযায়ী দায়ী করা যায়।

নোটিশে আরও বলা হয়, একজন আইন প্রণেতা হিসেবে রাশেদ খান মেনন ‘ক্যাসিনোর সাথে যুক্ত থেকে’ সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদ ও প্রকাশ্য জুয়া আইন, ১৮৬৭ লঙ্ঘন করেছেন। সংবিধান ও দণ্ডবিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।

পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর প্রসঙ্গে নোটিশে বলা হয়, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বুধবার বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর উপস্থিতিতে সচিব মহিবুল হক বিদেশিদের জন্য ক্যাসিনো স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। ক্যাসিনো সংক্রান্ত তাদের সিদ্ধান্ত ও বক্তব্য অসাংবিধানিক এবং শাস্তিযোগ্য। তাই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই নোটিসের জবাব দিতে অনুরোধ করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে জবাব না পেলে সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হবে। তাই ক্যসিনোর সাথে জড়িতদের তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র সচিবকে আবারও অনুরোধ করা হচ্ছে।

আইনি নোটিশটি পাঠানোর পর আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকার জুয়া বন্ধে ব্যবস্থা নেবে। কিন্ত সে পদক্ষেপ এখনও নেয়নি সরকার। ফলে সারা দেশে জুয়া, ক্যাসিনো প্রভাব বিস্তার করেছে। সেজন্য অপরাধ বাড়ছে, অর্থপাচার বাড়ছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে