রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন মানবিক সহায়তার ঘোষণা

মত ও পথ প্রতিবেদক

রোহিঙ্গা
ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা শরণার্থী, কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও ক্ষতিগ্রস্ত অন্য জনগোষ্ঠীর জন্য ১০৬৬ কোটি ৮০ লাখ টাকার বেশি নতুন মানবিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে।

আজ বুধবার নিউইয়র্কে নতুন এ অর্থ সহায়তার ঘোষণা দেয়া হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।

universel cardiac hospital

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ অর্থ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ৯ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর একটি অংশের পাশাপাশি বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জরুরি চাহিদা মেটাতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি মিয়ানমারে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের সদস্যসহ সেদেশে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত লোকজনকে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা দেবে। এদের মধ্যে রয়েছে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী এবং ‘আরাকান আর্মি’র মধ্যে লড়াইয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ।

মিয়ানমার ও বাংলাদেশের এ সংকট মোকাবিলায় মানবিক সহায়তা প্রদানকারী দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো শীর্ষস্থানে রয়েছে। ২০১৭ সালের আগস্টে সহিংসতা শুরুর পর থেকে দেশটি এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৬১৯ কোটি ৬০ লাখ টাকার বেশি সহায়তা করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ সহায়তা দিয়ে চলমান সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য সুরক্ষা, জরুরি আশ্রয়, খাদ্য, পুষ্টি, স্বাস্থ্য, মনো-সামাজিক সহায়তা, শিক্ষা, পানীয় জল, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ বিভিন্ন কাজ করা হয়। এ তহবিলের মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য দুর্যোগ মোকাবিলা প্রস্তুতির উন্নতি এবং শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধির কর্মসূচিও অন্তর্ভুক্ত।

রোহিঙ্গা
রোহিঙ্গা। ছবি : গার্ডিয়ান

এসব কর্মসূচি শরণার্থী শিবিরগুলোতে অস্থিতিশীলতা রোধ এবং উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হলে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এই মানবিক সঙ্কটে সাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের উদারতার প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর কাছে সহায়তা পৌঁছানো নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অব্যাহত প্রচেষ্টারও প্রশংসা করে।

মার্কিন দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষদের সচেতন সম্মতির ভিত্তিতে স্বেচ্ছামূলক, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো অব্যাহত রাখছি।

আমরা বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের শিক্ষাদানের জন্য মিয়ানমারের পাঠ্যক্রম ব্যবহারের সুবিধার্থে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মিয়ানমার সরকারকে উৎসাহিত করছি। এটি মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া রোহিঙ্গা তরুণদের আবার মিয়ানমারের সমাজের অন্তর্ভুক্ত হতে সহায়তা করবে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে