বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের মানুষ খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়। প্রশাসনের শত বাধা, গ্রেপ্তারসহ নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও ময়মনসিংহে লাখো মানুষের সমাবেশ সেটাই প্রমাণ করে। তাই, সংসদ ভেঙে দিয়ে অবিলম্বে নিরপেক্ষ কমিশনের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ নগরীর কৃষ্ণচূড়া চত্বরে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বেগম জিয়াকে বন্দি করে রাখতে পারবেন না। বন্দুক-পিস্তলের জোরে সব হবে না। ১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে রক্ষীবাহিনী তৈরি করে নির্যাতন চালিয়েছিল। এখন নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে গুম-খুন করা হচ্ছে, পায়ে গুলি করা হচ্ছে। তবুও কারও মধ্যে ভয় নেই। এটাই বিএনপি। আমাদের সংগ্রাম কোনো দলকে ক্ষমতায় বসানো নয়। আমাদের সংগ্রাম গণতন্ত্রের মুক্তির সংগ্রাম, সংবিধান রক্ষার সংগ্রাম, দেশের পতাকা সমুন্নত রাখা, মা-বোনের নিরাপত্তার সংগ্রাম।
সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ভোট-ডাকাতি করে নির্বাচনের আগের রাতেই ভোট লুট করে নিয়ে গেছেন, এটা ক্যাসিনোর চেয়েও বড় অপরাধ। ব্যাংক লুট করেছেন, নির্বাচনের আগে ১০ টাকা করে চাল খাওয়াবেন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৪০ টাকা দরে খাওয়াচ্ছেন, বিনা পয়সায় সার দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করেছেন। এসবের জবাব দিতে হবে।
তিনি বলেন, এ সমাবেশের আগে বিএনপি নেতা লিটন আকন্দসহ ময়মনসিংহে প্রত্যেকটি উপজেলা থেকে ১০-১২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু, প্রশাসনের শত বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশে লাখো মানুষ উপস্থিত হয়েছে। কারণ, দেশের মানুষ খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়।
- আরও পড়ুন >> চার মণ গাঁজাসহ রংপুরে আটক ৪
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ও জেলা উত্তর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদারের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব আবদুল আউয়াল মিন্টু, খাইরুল কবীর খোকন, ফজলুল হক মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ প্রমুখ।